Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার : উপদেষ্টা মাহফুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। সে বৈঠকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই ঘোষণাপত্রটি কবে এবং সরকার কীভাবে জারি করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখবে তা স্পষ্ট হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য সব অভ্যুত্থানের শক্তি জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে একমত। কিন্ত ঘোষণাপত্রে কী থাকবে, তা নিয়ে একমত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষের সঙ্গে সরকারের সংলাপ হবে। সেখানে নিশ্চয় একমত হওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রদের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে এই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ দিন ছাত্রদের ঘোষণাপত্র অবলম্বনে অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল থেকে একটি ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরির চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডার যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তাদের অভিমত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলা হয়ে ওঠেনি কিন্তু রাজনৈতিক দল জামায়াত, নারী ও শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি।

মাহফুজ আলম বলেন, তারা সবাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে একমত আছেন। ঘোষণাপত্র দিতে হবে কিন্তু ঘোষণাপত্রটি কবে দেওয়া হবে এবং ঘোষণাপত্রের ভেতরে কী কী কনটেন্ট থাকবে সে বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে বৃহস্পতিবার ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত হবে।

তিনি বলেন, আশা করি বাংলাদেশের জনগণ এবং ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণঅভ্যুত্থান পরিচালিত হয়েছে সেই গণঅভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট ও প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্রটি প্রচারিত এবং ঘোষিত হবে।

এই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত ও ঘোষণা মতামতের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এত বড় একটা অভ্যুত্থানের দলিল। এটা করতে সবাইকে সংযমের দিকে যেতে হবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে থাকবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে যদি জনগণ সরকারকে এই দায়িত্ব দেয় তাহলে। আর যদি না দেয় আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনে যারাই জিতবেন তারা এই গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হবেন এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে লিপিবদ্ধ হবে কিনা এ প্রশ্নে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে এই ঘোষণাপত্র অবলম্বনে একটি লিগ্যাল ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার পর্যালোচনা-আলোচনা চলছে। এটা আরো আগে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জনগণ থেকে আসার আগে আমরা এটা করতে পারছি না। আগে জনগণ থেকে আসুক তারপরেই সবাই মিলে এটা করব। সংবিধানে অর্ন্তভুক্তির বিষয়টা অবশ্যই গণপরিষদ এবং পরবর্তী সংবিধান সংশোধনী থেকে শুরু করে সব কিছুর ওপর নির্ভর করবে। যারা এ দায়িত্ব পাবেন বা আমরা যদি এ দায়িত্ব পাই, জনগণ যদি আমাদের দেয়- আমরা এটা করব। আগামী নির্বাচনে যারাই জিতবে তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হবেন। তারা এ ঘোষণাপত্র ধারণ করে জনগণের কাছে যাবে।

এ সময় জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টির অবস্থান আমাদের কাছে পরিষ্কার। এখন পর্যন্ত কোনো বৈঠকে তাদের আমরা ডাকিনি। তাই ঘোষণাপত্র বিষয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলা আমরা যৌক্তি মনে করছি না। আর বাম দলগুলোর মধ্যে অনেক সংগঠন আছে, তবে গণঅভ্যুত্থানে যেসব দল প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আরও হবে।
বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহফুজ আলম বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দিয়েছেন। মনে হয় তিনি ইতিবাচক আছেন। তবে তারা সময় নিতে পারেন। কিন্তু দুই পৃষ্ঠা বা তিন পৃষ্ঠার বিষয়ে পর্যালোচনা নিয়ে এমন সময় নিতে না হয় যাতে অন্যদের ভেতরে উত্তেজনা বা সংশয় তৈরি হয়।

তিনি বলেন, সবাইকে সংযমে যেতে হবে। শিক্ষার্থীরা একটা ডেডলাইন দিয়েছে। এতে তো সরকার চাপ অনুভব করছে। আমরা মনে করি, তারা সব পর্যালোচনা করে আগামী পরশু আমাদের সঙ্গে বসবেন। কথা বললে স্পষ্ট হয়ে যাবে, আমরা কোথায় দাঁড়াতে চাচ্ছি, কতটুকু কাটছাঁট বা যোগবিয়োগ হবে। আমরা মনে করি এটা হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারব এর ভেতরে কী আছে, কী হবে।

ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত হবে কি না এমন প্রশ্নে মাহফুজ আলম বলেন, ঘোষণাপত্র অবলম্বনে একটি আইনি ডুকেমেন্ট তৈরি করার বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনায় আছে। এ ঘোষণাপত্র ধরে একটি আইনি ডকুমেন্ট তৈরি করব সরকারের ন্যায্যতা ও সবকিছু মিলিয়ে। এটি অনেক আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জনগণের কাছ থেকে আসার আগে করতে পারছি না।

তিনি বলেন, সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়টি গণপরিষদ বা সংবিধান সংশোধন থেকে শুরু করে সবকিছুর ওপর নির্ভর করবে। জনগণ যদি আমাদের এ দায়িত্ব দেয়, তাহলে আমরা করব। আর পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে এর দায়বদ্ধতা থাকবে বলে আমরা মনে করি। আগামী নির্বাচনে যারাই নির্বাচিত হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হবে এবং ঘোষণাপত্রকে ধারণ করে জনগণের কাছে যাবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যদি আমরা থাকতাম তাহলে স্টুডেন্টদের দিক থেকে যেটি আমরা পেয়েছি, ওখানে যদি আমরা বিকেলে ঘোষণাপত্র দিতাম বা এর দুদিন পরে দিতাম, তাহলে যে মোমেন্টটা হতো, সেটাই আমরা ক্রিয়েট করতে চাইছি।

উপদেষ্টা বলেন, মূলত সেখানে ছাত্রদের নেতৃত্ব থাকবে কিন্তু সব রাজনৈতিক দলের রিপ্রেজেন্টেশন থাকবে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বশীল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের অ্যাডভাইজাররাও থাকতে পারেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের বিচার ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন : শিল্প উপদেষ্টা

জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার : উপদেষ্টা মাহফুজ

প্রকাশের সময় : ১০:১০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। সে বৈঠকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই ঘোষণাপত্রটি কবে এবং সরকার কীভাবে জারি করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখবে তা স্পষ্ট হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য সব অভ্যুত্থানের শক্তি জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে একমত। কিন্ত ঘোষণাপত্রে কী থাকবে, তা নিয়ে একমত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষের সঙ্গে সরকারের সংলাপ হবে। সেখানে নিশ্চয় একমত হওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রদের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে এই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ দিন ছাত্রদের ঘোষণাপত্র অবলম্বনে অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল থেকে একটি ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরির চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডার যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তাদের অভিমত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলা হয়ে ওঠেনি কিন্তু রাজনৈতিক দল জামায়াত, নারী ও শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি।

মাহফুজ আলম বলেন, তারা সবাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে একমত আছেন। ঘোষণাপত্র দিতে হবে কিন্তু ঘোষণাপত্রটি কবে দেওয়া হবে এবং ঘোষণাপত্রের ভেতরে কী কী কনটেন্ট থাকবে সে বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে বৃহস্পতিবার ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত হবে।

তিনি বলেন, আশা করি বাংলাদেশের জনগণ এবং ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণঅভ্যুত্থান পরিচালিত হয়েছে সেই গণঅভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট ও প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্রটি প্রচারিত এবং ঘোষিত হবে।

এই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত ও ঘোষণা মতামতের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এত বড় একটা অভ্যুত্থানের দলিল। এটা করতে সবাইকে সংযমের দিকে যেতে হবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে থাকবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে যদি জনগণ সরকারকে এই দায়িত্ব দেয় তাহলে। আর যদি না দেয় আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনে যারাই জিতবেন তারা এই গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হবেন এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে লিপিবদ্ধ হবে কিনা এ প্রশ্নে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে এই ঘোষণাপত্র অবলম্বনে একটি লিগ্যাল ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার পর্যালোচনা-আলোচনা চলছে। এটা আরো আগে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জনগণ থেকে আসার আগে আমরা এটা করতে পারছি না। আগে জনগণ থেকে আসুক তারপরেই সবাই মিলে এটা করব। সংবিধানে অর্ন্তভুক্তির বিষয়টা অবশ্যই গণপরিষদ এবং পরবর্তী সংবিধান সংশোধনী থেকে শুরু করে সব কিছুর ওপর নির্ভর করবে। যারা এ দায়িত্ব পাবেন বা আমরা যদি এ দায়িত্ব পাই, জনগণ যদি আমাদের দেয়- আমরা এটা করব। আগামী নির্বাচনে যারাই জিতবে তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হবেন। তারা এ ঘোষণাপত্র ধারণ করে জনগণের কাছে যাবে।

এ সময় জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টির অবস্থান আমাদের কাছে পরিষ্কার। এখন পর্যন্ত কোনো বৈঠকে তাদের আমরা ডাকিনি। তাই ঘোষণাপত্র বিষয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলা আমরা যৌক্তি মনে করছি না। আর বাম দলগুলোর মধ্যে অনেক সংগঠন আছে, তবে গণঅভ্যুত্থানে যেসব দল প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আরও হবে।
বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহফুজ আলম বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দিয়েছেন। মনে হয় তিনি ইতিবাচক আছেন। তবে তারা সময় নিতে পারেন। কিন্তু দুই পৃষ্ঠা বা তিন পৃষ্ঠার বিষয়ে পর্যালোচনা নিয়ে এমন সময় নিতে না হয় যাতে অন্যদের ভেতরে উত্তেজনা বা সংশয় তৈরি হয়।

তিনি বলেন, সবাইকে সংযমে যেতে হবে। শিক্ষার্থীরা একটা ডেডলাইন দিয়েছে। এতে তো সরকার চাপ অনুভব করছে। আমরা মনে করি, তারা সব পর্যালোচনা করে আগামী পরশু আমাদের সঙ্গে বসবেন। কথা বললে স্পষ্ট হয়ে যাবে, আমরা কোথায় দাঁড়াতে চাচ্ছি, কতটুকু কাটছাঁট বা যোগবিয়োগ হবে। আমরা মনে করি এটা হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারব এর ভেতরে কী আছে, কী হবে।

ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত হবে কি না এমন প্রশ্নে মাহফুজ আলম বলেন, ঘোষণাপত্র অবলম্বনে একটি আইনি ডুকেমেন্ট তৈরি করার বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনায় আছে। এ ঘোষণাপত্র ধরে একটি আইনি ডকুমেন্ট তৈরি করব সরকারের ন্যায্যতা ও সবকিছু মিলিয়ে। এটি অনেক আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জনগণের কাছ থেকে আসার আগে করতে পারছি না।

তিনি বলেন, সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়টি গণপরিষদ বা সংবিধান সংশোধন থেকে শুরু করে সবকিছুর ওপর নির্ভর করবে। জনগণ যদি আমাদের এ দায়িত্ব দেয়, তাহলে আমরা করব। আর পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে এর দায়বদ্ধতা থাকবে বলে আমরা মনে করি। আগামী নির্বাচনে যারাই নির্বাচিত হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হবে এবং ঘোষণাপত্রকে ধারণ করে জনগণের কাছে যাবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যদি আমরা থাকতাম তাহলে স্টুডেন্টদের দিক থেকে যেটি আমরা পেয়েছি, ওখানে যদি আমরা বিকেলে ঘোষণাপত্র দিতাম বা এর দুদিন পরে দিতাম, তাহলে যে মোমেন্টটা হতো, সেটাই আমরা ক্রিয়েট করতে চাইছি।

উপদেষ্টা বলেন, মূলত সেখানে ছাত্রদের নেতৃত্ব থাকবে কিন্তু সব রাজনৈতিক দলের রিপ্রেজেন্টেশন থাকবে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বশীল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের অ্যাডভাইজাররাও থাকতে পারেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।