নিজস্ব প্রতিবেদক :
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে মানুষকে বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হত। এভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে তারা আইন-শৃঙ্খলা এবং হত্যা-গুমের কথা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কালাচাঁদপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে, পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে। কিছুদিন আগেও শাহআলী এবং রূপনগর থানায় বিএনপির প্রোগ্রামে আমাদের সাংবাদিক ভাইদের গায়ে হাত দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেই পুরানো চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই। ২০০১ সালে যেই বিএনপি আমাদের সাংবাদিক ভাইদের নির্যাতন করেছিল, এরা সেই বিএনপি ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুলে গেলে চলবে না, যে ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রথমে রাজনীতিবিদদের গালি দিয়ে মিলিটারি লেবাস পরে ক্ষমতা দখল এবং তার পর লেবাস খুলে নিজেই রাজনীতিতে নামা। রাজনৈতিক দলের কিছু উচ্ছিষ্টদের নিয়ে দল গঠন করা। এইতো বিএনপি আজকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে বিএনপি। শেখ হাসিনাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতেই শেখ হাসিনা’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আজকে ওরা হত্যা, খুন-গুমের কথা বলে। আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরণের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। ২১ বছর পর, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করে নাই যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কী পেলাম? ৩০ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী শিশু নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আদলে।
শেখ পরশ বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে মানুষকে বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হত। এভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। আজকে তারা আইন-শৃঙ্খলা এবং হত্যা-গুমের কথা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে, পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে। কিছুদিন আগেও শাহআলী এবং রূপনগর থানায় বিএনপির প্রোগ্রামে আমাদের সাংবাদিক ভাইদের গায়ে হাত দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেই পুরানো চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই। ২০০১ সালে যেই বিএনপি আমাদের সাংবাদিক ভাইদের নির্যাতন করেছিল, এরা সেই বিএনপি ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুলে গেলে চলবে না, যে ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরশাসকের পকেট থেকে তাদের দলের সৃষ্টি, তারা কী সেটা ভুলে গেছে? তারা না কি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা সংগ্রাম করছে! তাদের জন্মটা কোথায় এবং কিভাবে হয়েছে? তারা কী ভুলে গেছে নিশ্চয়ই? প্রথমে রাজনীতিবিদদের গালি দিয়ে মিলিটারি লেবাস পরে ক্ষমতা দখল এবং তার পর লেবাস খুলে নিজেই রাজনীতিতে নামা। রাজনৈতিক দলের কিছু উচ্ছিষ্টদের নিয়ে দল গঠন করা।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আপনারা যদি যুবলীগ করতে চান তাহলে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোনো জনবিচ্ছিন্ন সুশীলদের পূর্ব-নির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতিমধ্যে সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা।
শেখ পরশ বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদ এদেশে থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাই এমপি-মন্ত্রী বলেন, আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, সাজা হচ্ছে। অনেক সরকার দেখেছি কিন্তু, এই সততা ও ন্যায়পরায়ণতা আর কোনো সরকার দেখাতে পারে নাই এই ৫০ বছরে। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার খুলে পড়ে দেখুন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নাই, যেটা শেখ হাসিনা সরকার পূরণ করেন নাই।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।