Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মী কারাগারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে গ্রেফতার ৪৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার সবাইকে আদালতে উপস্থিত করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন মাতুব্বর। অন্যদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিছিল থেকে আটকের পর এসআই মো. রাসেদুল ইসলাম আটক ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, ফুয়াদ খা, আবু আক্কাস, হাসানুজ্জামান, হেলাল আহমেদ, আসাদুজ্জামান সোহেল, রফিকুল ইসলাম, আমানউল্লাহ, সাইদুর রহমান, আবু তাহের খান, নাইম, নাজমুল গাজী, তানভীর আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, ওয়াজ করনী, মাইন উদ্দিন, তাহমিদ, কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, তুহিন, নেছার উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মাহিদুল ইসলাম, মজিবুল্লাহ, এমদাদুল হাসান, মোখলেছুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মোসলে উদ্দিন ও সালেহ আল ইমতিয়াজসহ আরও অনেকে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, জামায়াত নেতাকর্মীরা ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা পানির পাম্পের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল, বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনগণের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পুলিশ বেআইনি জনতাকে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করলেও তারা পুলিশের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ২/৩ টি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে যাত্রাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন।

একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। অতঃপর জনগণ ও পুলিশের জানমাল রক্ষায় তাদের আটক করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল আলম বলেন, সকালে যাত্রাবাড়ী থানা সংলগ্ন বউবাজার কাজলা এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।

ওসি আরও বলেন, পরে বিকেলে আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মামলা করে। মামলায় আটক জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় বাধা, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, নেতাদের মুক্তি ও সারাদেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।

এদিকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, মিছিলে পুলিশের অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং অসংখ্য নেতাকর্মীদের আটক করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফের এয়ার ইন্ডিয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি, উড্ডয়ন বাতিল

জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশের সময় : ১০:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে গ্রেফতার ৪৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার সবাইকে আদালতে উপস্থিত করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন মাতুব্বর। অন্যদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিছিল থেকে আটকের পর এসআই মো. রাসেদুল ইসলাম আটক ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, ফুয়াদ খা, আবু আক্কাস, হাসানুজ্জামান, হেলাল আহমেদ, আসাদুজ্জামান সোহেল, রফিকুল ইসলাম, আমানউল্লাহ, সাইদুর রহমান, আবু তাহের খান, নাইম, নাজমুল গাজী, তানভীর আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, ওয়াজ করনী, মাইন উদ্দিন, তাহমিদ, কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, তুহিন, নেছার উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মাহিদুল ইসলাম, মজিবুল্লাহ, এমদাদুল হাসান, মোখলেছুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মোসলে উদ্দিন ও সালেহ আল ইমতিয়াজসহ আরও অনেকে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, জামায়াত নেতাকর্মীরা ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা পানির পাম্পের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল, বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনগণের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পুলিশ বেআইনি জনতাকে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করলেও তারা পুলিশের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ২/৩ টি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে যাত্রাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন।

একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। অতঃপর জনগণ ও পুলিশের জানমাল রক্ষায় তাদের আটক করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল আলম বলেন, সকালে যাত্রাবাড়ী থানা সংলগ্ন বউবাজার কাজলা এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।

ওসি আরও বলেন, পরে বিকেলে আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মামলা করে। মামলায় আটক জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় বাধা, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, নেতাদের মুক্তি ও সারাদেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।

এদিকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, মিছিলে পুলিশের অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং অসংখ্য নেতাকর্মীদের আটক করে।