কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
জামায়াতে ইসলামীকে যদি ভোট দেন তাহলে আমার মৃতদেহ পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। তার ভাষায় নিজ নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের সতর্ক করে দেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা ইটনার মৃগা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের জন্য আমি একটা টাইটেল এনেছি। এই টাইটেলটা হলো আমি হইলাম ‘ফজা পাগলা’। যে হারামজাদারা আমাকে এই টাইটেলটা দিয়েছে, তারা হলো স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত। তাদের যদি ভোট দেন- তাইলে আমার মৃতদেহ পাবেন। তাদের ভোট দেবেন আপনারা? দিবেন? আমি ইচ্ছা করলে অনেক কিছু করতে পারি। এ সময় উপস্থিত সব নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমস্বরে হাত তুলে জবাব দেন- ‘না’, ‘না’।
বিএনপির দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেন, আমি সাধারণ মানুষের ছেলে। যারা যুদ্ধ করে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, আমি তাদের মধ্যে অন্যতম। কাজেই যখন দেখলাম কেউ কথা বলে না; আমার দল যখন চুপ করে থাকে- তখন জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বাম হাতের আঙ্গুলটা তুলে আমি বললাম- ‘এই রাজাকারের বাচ্চারা, এখনো কিন্তু জীবিত আছি রে’। মুক্তিযুদ্ধ আছে, মুক্তিযুদ্ধ থাকবে। তোমরা যদি মুক্তিযুদ্ধকে শেষ করে দিতে চাও তোমাদের সঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক যুদ্ধ হবে আমাদের।
তিনি বলেন, কালকেও আমাকে অন্তত একশটা বকা দেওয়া হয়েছে। কী বকা দেয়, বুঝবেন না আপনারা। সহ্য করা যায় না। আমার অপরাধ কী? আমি তো জামায়াতে ইসলামী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বকি নাই। ৫ আগস্টের পর তারা বলতে শুরু করল- ১৯৪৭ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, আর ২০২৪ সালে শেষ মুক্তিযুদ্ধ হইছে। একাত্তর সালে একটা গণ্ডগোল হইছিল। এই গণ্ডগোলটা ইন্ডিয়া লাগাইয়া দিছিল, একাত্তর সালে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই।
সমাবেশে মো. ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান স্বপন ঠাকুরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 





















