Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮০ জন। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এসব হামলায় আরও ৮৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

জাবালিয়ায় একদিনে এত নারীর মৃত্যুর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দখলদার ইসরায়েল।

আল আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রায় ৭০ জনকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমসিম খাচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। তারা জাবালিয়ায় সর্বশেষ হামলায় আহত হয়েছে।

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজায় যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, গত বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের পর থেকে এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং শিন বেটের (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) যৌথ অভিযানগুলোর মাধ্যমে সিনওয়ারের চলাচল সীমিত করা হয়। এই তৎপরতার ফলেই তাকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে সিনওয়ারও ছিলেন। তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩

প্রকাশের সময় : ১২:২৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮০ জন। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এসব হামলায় আরও ৮৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

জাবালিয়ায় একদিনে এত নারীর মৃত্যুর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দখলদার ইসরায়েল।

আল আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রায় ৭০ জনকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমসিম খাচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। তারা জাবালিয়ায় সর্বশেষ হামলায় আহত হয়েছে।

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজায় যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, গত বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের পর থেকে এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং শিন বেটের (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) যৌথ অভিযানগুলোর মাধ্যমে সিনওয়ারের চলাচল সীমিত করা হয়। এই তৎপরতার ফলেই তাকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে সিনওয়ারও ছিলেন। তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে।