Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপানে ১০ আরোহী নিয়ে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপের মিয়াকোজিমার কাছে অন্তত ১০ আরোহীকে নিয়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপের মিয়াকোজিমার কাছে সাগরে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।

এতে থাকা যাত্রীদের জীবিত উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। রয়টার্সের বরাতে এনডিটিভির বরাত।

এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ) প্রধান জেনারেল ইয়াসুনোরি মরিশিতা।

তিনি বলেছেন, ব্ল্যাক হক নামে পরিচিত জাপানের সামরিক বাহিনীর একটি ইউএইচ-৬০ উড়োজাহাজ সৈন্যদের পরিবহন করছিল। মিয়াকোজিমায় জিএসডিএফের ঘাঁটি থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এর সঙ্গে রাডারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি মিয়াকোজিমার চারপাশে টহল দিচ্ছিল।

পূর্ব চীন সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ভ্রমণকারী চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলো প্রায়ই মিয়াকোজিমার কাছাকাছি দিয়ে যায়। দ্বীপটিতে ২০১৯ সাল থেকে জিএসডিএফের মোবাইল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল লঞ্চার মোতায়েন রয়েছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এবং মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির বৈঠক নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে গত চার দিনে অন্তত তিনটি চীনা যুদ্ধজাহাজ দ্বীপটি অতিক্রম করেছে।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি কোনো চীনা সামরিক তৎপরতা ট্র্যাক করার মিশনে ছিল কি না তা জানাননি মরিশিতা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, হেলিকপ্টারের আরোহীদের উদ্ধার করাই এখন সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়।

জাপানি কোস্ট গার্ড এবং সামরিক বাহিনীর জাহাজ ও প্লেন এরই মধ্যে সাগরের ভেতর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। তারা এখন নিখোঁজ চার হেলিকপ্টার ক্রু এবং ছয় যাত্রীর সন্ধান করছে। নিখোঁজদের মধ্যে ইউচি সাকামোতো নামে জিএসডিএফের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও রয়েছেন।

দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, অনুসন্ধান ও অভিযানে উদ্ধার হওয়া সাগরে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ ওই হেলিকপ্টারের অংশ হতে পারে।

জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ) প্রধান জেনারেল ইয়াসুনোরি মরিশিতা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিশ্বাস ওই হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

চার পাখা ও ডাবল ইঞ্জিনে চালিত হেলিকপ্টারটি জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ)। এটি স্থানীয় ১৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের সময় নিখোঁজ হয় বলে জানান সামরিক কর্মকর্তারা।

জাপানের কোস্ট গার্ড বলেছে, তাদের টহল জাহাজ পরে একটি ভাঁজ করা লাইফবোট উদ্ধার করেছে। যা জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর। সাগরে তেল এবং পাখার ব্লেডের অংশ হতে পারে এমন কিছু জিনিসও পাওয়া গেছে। সূত্র: সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

জাপানে ১০ আরোহী নিয়ে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

প্রকাশের সময় : ০২:০০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপের মিয়াকোজিমার কাছে অন্তত ১০ আরোহীকে নিয়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপের মিয়াকোজিমার কাছে সাগরে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।

এতে থাকা যাত্রীদের জীবিত উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। রয়টার্সের বরাতে এনডিটিভির বরাত।

এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ) প্রধান জেনারেল ইয়াসুনোরি মরিশিতা।

তিনি বলেছেন, ব্ল্যাক হক নামে পরিচিত জাপানের সামরিক বাহিনীর একটি ইউএইচ-৬০ উড়োজাহাজ সৈন্যদের পরিবহন করছিল। মিয়াকোজিমায় জিএসডিএফের ঘাঁটি থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এর সঙ্গে রাডারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি মিয়াকোজিমার চারপাশে টহল দিচ্ছিল।

পূর্ব চীন সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ভ্রমণকারী চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলো প্রায়ই মিয়াকোজিমার কাছাকাছি দিয়ে যায়। দ্বীপটিতে ২০১৯ সাল থেকে জিএসডিএফের মোবাইল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল লঞ্চার মোতায়েন রয়েছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এবং মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির বৈঠক নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে গত চার দিনে অন্তত তিনটি চীনা যুদ্ধজাহাজ দ্বীপটি অতিক্রম করেছে।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি কোনো চীনা সামরিক তৎপরতা ট্র্যাক করার মিশনে ছিল কি না তা জানাননি মরিশিতা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, হেলিকপ্টারের আরোহীদের উদ্ধার করাই এখন সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়।

জাপানি কোস্ট গার্ড এবং সামরিক বাহিনীর জাহাজ ও প্লেন এরই মধ্যে সাগরের ভেতর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। তারা এখন নিখোঁজ চার হেলিকপ্টার ক্রু এবং ছয় যাত্রীর সন্ধান করছে। নিখোঁজদের মধ্যে ইউচি সাকামোতো নামে জিএসডিএফের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও রয়েছেন।

দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, অনুসন্ধান ও অভিযানে উদ্ধার হওয়া সাগরে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ ওই হেলিকপ্টারের অংশ হতে পারে।

জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ) প্রধান জেনারেল ইয়াসুনোরি মরিশিতা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিশ্বাস ওই হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

চার পাখা ও ডাবল ইঞ্জিনে চালিত হেলিকপ্টারটি জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ)। এটি স্থানীয় ১৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের সময় নিখোঁজ হয় বলে জানান সামরিক কর্মকর্তারা।

জাপানের কোস্ট গার্ড বলেছে, তাদের টহল জাহাজ পরে একটি ভাঁজ করা লাইফবোট উদ্ধার করেছে। যা জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর। সাগরে তেল এবং পাখার ব্লেডের অংশ হতে পারে এমন কিছু জিনিসও পাওয়া গেছে। সূত্র: সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।