আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মধ্য জাপানের নাকানো শহরে বন্দুক হামলা ও ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে নাগানোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাসানোরি আওকির হামলায় হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে একটি ছুরিও ছিলো। ছুরি হামলায় এক নারী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, হাসপাতালে নেওয়ার পরে ছুরিকাঘাতে আহত ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগানোর প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে গুলি ও ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী ব্যক্তি একটি ভবনের ভেতরে লুকিয়েছেন।
হামলাকারী একটি ক্যাপ, সানগ্লাস এবং একটি মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। নিরাপত্তা বিবেচনায় এলাকার লোকজনকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
মাসানোরি আওকি (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নাগানোর প্রাদেশিক সংসদের স্পিকার মাসামিচি আওকির বড় ছেলে। শুক্রবার (২৬ মে) তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
মাসানোরি আওকি প্রথমে এক নারীকে প্রায় এক ফুট লম্বা একটি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
হত্যার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ তাকে খুনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে খুন করেছি। কারণ আমি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম।
গ্রেফতার এড়াতে ওই যুবক তার বাবার বাসভবনে ঢুকে পড়েন। সেখানে চার ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় জাপানে বন্দুক হামলার মতো ঘটনা একেবারে বিরল। দেশটিতে কেউ অস্ত্র কিনতে চাইলে, তাকে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়।
তবে সম্প্রতি দেশটির সবচেয়ে বেশি মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় দেশটিতে। সূত্র: বিবিসি।