নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরুর দিন এসব কথা বলেন তিনি। আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ইসি, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
ইসি বলেন, এখনো আমরা তারিখ ঠিক করিনি। বলা যায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এর মাধ্যমে শুরু হয়ে গেলো। এ কারণে আমরা সবাই এখানে আছি।
ব্যালটে ভোট হবে জানিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, এ কারণে চ্যালেঞ্জটা বেশিই থাকবে। নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনে প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এগুলো জানতে হবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে।
ইসি বলেন, আপনারা যারা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন তারা প্রথমে অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ করাবেন। এরপর অঞ্চলে যারা প্রশিক্ষিত হবেন তারা জেলা পর্যায়ে এবং জেলার প্রশিক্ষিতরা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। আমি নিজেও দুইবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ইসির প্রশিক্ষিত সাড়ে তিন হাজার এক্সপার্ট মাঠ পর্যায়ের প্রায় ৯ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন করতে হলে, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে আগের ৯০ দিনের মধ্যে তা করতে হবে। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আইনের মধ্যে থাকলেই সুষ্ঠু এবং ঝুঁকিমুক্ত ভোট করা সম্ভব। শতভাগ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতিকে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।
আরেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ- এই বাক্য মনে রেখে ভোটের মাঠে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।