Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘের গভীর সমুদ্রবিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সমুদ্র রক্ষা এবং গভীর সাগরে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের চুক্তিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশনের আওতায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) চুক্তি সই করেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যদি অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ (মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস) আহরণ করতে চায়, তাহলে একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের, সেই দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দিতে হবে।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র রয়েছে, সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সব কিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সেটির মালিক ওই দেশ। এর অর্থ হলো, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ অন্য যেকোনো দেশ আহরণ করার অধিকার রাখে।

চুক্তিতে যারা সই করেছে, তাদের গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে– মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না। অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না। পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে, সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে। সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।

আবহাওয়া

জাতিসংঘের গভীর সমুদ্রবিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সমুদ্র রক্ষা এবং গভীর সাগরে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের চুক্তিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশনের আওতায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) চুক্তি সই করেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যদি অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ (মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস) আহরণ করতে চায়, তাহলে একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের, সেই দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দিতে হবে।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র রয়েছে, সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সব কিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সেটির মালিক ওই দেশ। এর অর্থ হলো, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ অন্য যেকোনো দেশ আহরণ করার অধিকার রাখে।

চুক্তিতে যারা সই করেছে, তাদের গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে– মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না। অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না। পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে, সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে। সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।