Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ শীর্ষক রেজুলেশন গৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ‘প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু এবং টেকসই উন্নয়ন’ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। পাট, তুলা এবং সিসালের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অটল প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থনের স্বীকৃতি বহন করে এটি।

প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহারের জোরালো আহ্বান জানায়। বিশেষ করে এটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রাজনৈতিক সমর্থন জোগাতে এবং এ সংক্রান্ত তাদের সক্ষমতা বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণে উৎসাহিত করে।

বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাবটি প্রাকৃতিক তন্তুকে কৃত্রিম এবং প্লাস্টিকভিত্তিক পণ্যগুলোর একটি উত্তম বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানায়। সর্বোপরি, ২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন তরান্বিত করতে প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরা হয়েছে এই প্রস্তাবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন। তিনি জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনায় তাদের স্বতঃষ্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য এবং এর বিভিন্ন প্রস্তাবে ঐকমত্য অর্জনে অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এই প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি। তিনি প্রস্তাবটির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বপ্রথম এ রেজুলেশন পেশ করে এবং তারপর থেকে এ রেজুলেশন জাতিসংঘে দ্বি-বার্ষিকভাবে গৃহীত হয়ে আসছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ শীর্ষক রেজুলেশন গৃহীত

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ‘প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু এবং টেকসই উন্নয়ন’ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। পাট, তুলা এবং সিসালের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অটল প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থনের স্বীকৃতি বহন করে এটি।

প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহারের জোরালো আহ্বান জানায়। বিশেষ করে এটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রাজনৈতিক সমর্থন জোগাতে এবং এ সংক্রান্ত তাদের সক্ষমতা বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণে উৎসাহিত করে।

বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাবটি প্রাকৃতিক তন্তুকে কৃত্রিম এবং প্লাস্টিকভিত্তিক পণ্যগুলোর একটি উত্তম বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানায়। সর্বোপরি, ২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন তরান্বিত করতে প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরা হয়েছে এই প্রস্তাবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন। তিনি জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনায় তাদের স্বতঃষ্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য এবং এর বিভিন্ন প্রস্তাবে ঐকমত্য অর্জনে অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এই প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি। তিনি প্রস্তাবটির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বপ্রথম এ রেজুলেশন পেশ করে এবং তারপর থেকে এ রেজুলেশন জাতিসংঘে দ্বি-বার্ষিকভাবে গৃহীত হয়ে আসছে।