Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।

এ মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে আসামিদের একজন আদালতের কাঠগড়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে জয়পুরহাটের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হারুন অর রশিদ, মোস্তাক আহমেদ ও হাফিজার রহমান। তারা সকলেই কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় মোস্তাক আহমেদ ও হাফিজার রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হারুন অর রশিদকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করতে আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

জয়পুরহাট জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কালাই পৌর শহরের আওড়া মহল্লার আমজাদ হোসেন পারিবারিক গোরস্থানে আমজাদের মৃত মা আমেনা বেওয়ার পুরাতন কবরের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির দুটি পা বাহিরে বের হওয়া অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে একটি পা জীবজন্তু খেয়ে ফেলেছিল। স্থানীয় লোকজন এটি দেখতে পেয়ে চৌকিদার শ্যামল চন্দ্রকে খবর দেন।

তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা শাহজাহান আলী মরদেহটি উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ওইদিনই বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে থানায় আনা হয়। মরদেহের পরনে থাকা পোশাক দেখে দোগাছীর হানুফা বিবি মরদেহটি তার ছেলে ভ্যানচালক আবু কালামের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তে ভ্যান ছিনতাই করতে চালক আবু সালামকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ পুরাতন কবরে চাপা দিয়ে রাখার ঘটনা উঠে আসে। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার ১৯ বছর পর আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।

এ মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে আসামিদের একজন আদালতের কাঠগড়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে জয়পুরহাটের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হারুন অর রশিদ, মোস্তাক আহমেদ ও হাফিজার রহমান। তারা সকলেই কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় মোস্তাক আহমেদ ও হাফিজার রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হারুন অর রশিদকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করতে আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

জয়পুরহাট জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কালাই পৌর শহরের আওড়া মহল্লার আমজাদ হোসেন পারিবারিক গোরস্থানে আমজাদের মৃত মা আমেনা বেওয়ার পুরাতন কবরের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির দুটি পা বাহিরে বের হওয়া অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে একটি পা জীবজন্তু খেয়ে ফেলেছিল। স্থানীয় লোকজন এটি দেখতে পেয়ে চৌকিদার শ্যামল চন্দ্রকে খবর দেন।

তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা শাহজাহান আলী মরদেহটি উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ওইদিনই বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে থানায় আনা হয়। মরদেহের পরনে থাকা পোশাক দেখে দোগাছীর হানুফা বিবি মরদেহটি তার ছেলে ভ্যানচালক আবু কালামের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তে ভ্যান ছিনতাই করতে চালক আবু সালামকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ পুরাতন কবরে চাপা দিয়ে রাখার ঘটনা উঠে আসে। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার ১৯ বছর পর আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।