জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটে আড়াই মাস আগে ধারালো আস্ত্রের আঘাতে জখম হওয়া ছাত্রদল নেতা পিয়াল আহম্মেদ (৩২) এবার খুন হয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের দেবীপুর এলাকায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পিয়াল আহম্মেদ জয়পুরহাট শহর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। জেলা শহরের ইসলামনগর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পিয়াল আহম্মেদের সাথে নিজ এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে হামলাকারীরা গত ১২ মার্চ রাতে তার নিজ বাড়ি এলাকার পাশে রেললাইনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। আশপাশের লোকজন পিয়ালকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
ওই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। এর মধ্যে একজন কারাগারে রয়েছেন, আর অন্যরা জামিনে রয়েছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে পিয়াল আহম্মেদকে আজ আবারও নিজ এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হামলাকারীরা ফেলে রেখে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পিয়ালের বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপানো হয়েছে। পরে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, এর আগে তাকে জখম করা হয়েছিল। এরপর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এক নম্বর আসামি ছাড়া সবাই জামিনে আছেন। ওদের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পারিবারিক কলহ ছিল এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে আবারও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে।