Dhaka শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয় বাংলা বলায় কাউকে গ্রেফতার করলে আমাকে প্রথমে করেন : কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আজ থেকে বলবো, আমাদের লোকেরা সব সময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলবে। যদি জয় বাংলা বলা কোনও অপরাধ হয়ে থাকে, জয় বাংলা বললে কাউকে যদি গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে আমাকে প্রথমে করেন। তারপর বাকি যারা বলবে, তাদের করেন। জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেফতার করা মানায় না। বঙ্গবন্ধুর ঘরবাড়ি ভাঙা মানায় না। তার জন্য সরকার প্রতিকার করে নাই, এইটা তো একতরফা। নাকি দুই তরফা বলা যায়। সরকার একতরফা কাজ করছে।’

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে মা-বাবার কবর জিয়ারতের পর এক সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন। এর আগে বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কারামুক্তির পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আজ মা–বাবার কবর জিয়ারত করতে আসেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের সংখ্যাগুরু ভোটার যদি ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারে, আমরা সেই ভোটে যাবো না। আজ প্রায় ১৫ মাস অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। দেশ সম্পর্কে কথা বলতে একবারের জন্যও আমাদের ডাকে নাই। কাল চিঠি পেলাম, একবার ভেবেছিলাম সরকারের ডাক এসেছে। পরে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। সরকার ডাকলে যেতাম না। নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তাদের কথাগুলো বলে আসবো।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, এজন্য ধন্যবাদ যে, তিনি আমাদের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে চিনেছেন। আমরা অধ্যাপক ইউনূসকে চিন্তে পারি নাই, আমরা অনেক পরে চিনলাম। আমি অধ্যাপক ইউনূসের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। যখন ২০১২ সালের দিকে তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা উঠে ছিল। তখন আমি যদি তার পাশে না দাঁড়াতাম, আমরা যদি না দাঁড়াতাম তাহলে অনেক গ্রামীণ ব্যাংকের স্থাপনা থাকতো না।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সামনে নির্বাচনটা চাই, সব মানুষের অংশগ্রহণে। মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। যেকোনো ভোটার যেন বলতে পারে আমি ভোট দিয়েছি। বিএনপি রাজনৈতিক দল, তার সঙ্গে ভালো থাকুক, খারাপ থাকুক প্রচুর মানুষ আছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন করলে দেশের জন্য ভালো হবে না। গুরুত্বসহকারে কাজ করলে কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু যদি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়, নিজেদের ইচ্ছে মতো কোনও ফলাফল বের করবেন, তাহলে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। সে ঝুঁকি নিয়ে টিকতে পারবে না।’

এ সময় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বজ্রর (কাদের সিদ্দিকীর ডাকনাম) সাথে একমত। আল্লাহর অপার করুণা, আমরা দুজন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছি। না হলে আজকে আমরা ঘৃণিত হতাম। আমি জেলে গিয়ে দেখেছি, দেশের বড় বড় কুতুবরা ৫ আগস্টের আগে যে ভাব করতো, তাদের সেই ভাব ধ্বংস হয়ে গেছে। আল্লাহ ওই সব ভাববাদীদের পছন্দ করেন না।’

দুপুরে কালিহাতী উপজেলা সদরে লতিফ সিদ্দিকীর বাড়ির সামনে থেকে কয়েক শ মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে তার সমর্থকরা ছাতিহাটি গ্রামের দিকে রওনা হন। বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা কালিহাতী পর্যন্ত যান। সেখানে জুমার নামাজ শেষে কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকী তাদের মা-বাবার কবর জিয়ারত করেন। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী, তাদের ছোট ভাই ও কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমদ

জয় বাংলা বলায় কাউকে গ্রেফতার করলে আমাকে প্রথমে করেন : কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশের সময় : ০১:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আজ থেকে বলবো, আমাদের লোকেরা সব সময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলবে। যদি জয় বাংলা বলা কোনও অপরাধ হয়ে থাকে, জয় বাংলা বললে কাউকে যদি গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে আমাকে প্রথমে করেন। তারপর বাকি যারা বলবে, তাদের করেন। জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেফতার করা মানায় না। বঙ্গবন্ধুর ঘরবাড়ি ভাঙা মানায় না। তার জন্য সরকার প্রতিকার করে নাই, এইটা তো একতরফা। নাকি দুই তরফা বলা যায়। সরকার একতরফা কাজ করছে।’

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে মা-বাবার কবর জিয়ারতের পর এক সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন। এর আগে বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কারামুক্তির পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আজ মা–বাবার কবর জিয়ারত করতে আসেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের সংখ্যাগুরু ভোটার যদি ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারে, আমরা সেই ভোটে যাবো না। আজ প্রায় ১৫ মাস অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। দেশ সম্পর্কে কথা বলতে একবারের জন্যও আমাদের ডাকে নাই। কাল চিঠি পেলাম, একবার ভেবেছিলাম সরকারের ডাক এসেছে। পরে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। সরকার ডাকলে যেতাম না। নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তাদের কথাগুলো বলে আসবো।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, এজন্য ধন্যবাদ যে, তিনি আমাদের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে চিনেছেন। আমরা অধ্যাপক ইউনূসকে চিন্তে পারি নাই, আমরা অনেক পরে চিনলাম। আমি অধ্যাপক ইউনূসের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। যখন ২০১২ সালের দিকে তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা উঠে ছিল। তখন আমি যদি তার পাশে না দাঁড়াতাম, আমরা যদি না দাঁড়াতাম তাহলে অনেক গ্রামীণ ব্যাংকের স্থাপনা থাকতো না।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সামনে নির্বাচনটা চাই, সব মানুষের অংশগ্রহণে। মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। যেকোনো ভোটার যেন বলতে পারে আমি ভোট দিয়েছি। বিএনপি রাজনৈতিক দল, তার সঙ্গে ভালো থাকুক, খারাপ থাকুক প্রচুর মানুষ আছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন করলে দেশের জন্য ভালো হবে না। গুরুত্বসহকারে কাজ করলে কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু যদি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়, নিজেদের ইচ্ছে মতো কোনও ফলাফল বের করবেন, তাহলে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। সে ঝুঁকি নিয়ে টিকতে পারবে না।’

এ সময় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বজ্রর (কাদের সিদ্দিকীর ডাকনাম) সাথে একমত। আল্লাহর অপার করুণা, আমরা দুজন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছি। না হলে আজকে আমরা ঘৃণিত হতাম। আমি জেলে গিয়ে দেখেছি, দেশের বড় বড় কুতুবরা ৫ আগস্টের আগে যে ভাব করতো, তাদের সেই ভাব ধ্বংস হয়ে গেছে। আল্লাহ ওই সব ভাববাদীদের পছন্দ করেন না।’

দুপুরে কালিহাতী উপজেলা সদরে লতিফ সিদ্দিকীর বাড়ির সামনে থেকে কয়েক শ মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে তার সমর্থকরা ছাতিহাটি গ্রামের দিকে রওনা হন। বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা কালিহাতী পর্যন্ত যান। সেখানে জুমার নামাজ শেষে কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকী তাদের মা-বাবার কবর জিয়ারত করেন। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী, তাদের ছোট ভাই ও কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।