Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের প্রতিরোধের মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে জনগণের প্রতিরোধের মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রতিরোধে মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা কিন্তু সফল হয়েছে সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আক্রমণ করতে সফল হয়েছে।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমাদের লড়তে হবে এক সঙ্গে। মান অভিমান সব ভুলে যেতে হবে।

অশুভ শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনাই এই মুহূর্তে আমাদের অস্তিত্বের কাণ্ডারি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউকে বসিয়ে রাখব না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্র নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। সে কথা আজ জানিয়ে দেওয়া হলো। যাকে যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে, মনে রাখতে হবে; এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমরা ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করব। এটা আমি দলের সভাপতির পক্ষ থেকে আপনাদের বলছি। সংকটে যারা ঝুঁকি নেবেন, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন থাকবে।

যারা কোনো কাজ করবে না, শুধু অফিসে এসে প্রটোকল দেবেন এমন নেতাকর্মীদের দরকার নেই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রটোকল দরকার নেই। আমাদের প্রটোকল আমাদের আদর্শ। আমাদের প্রটোকল আমাদের রাজনীতির আদর্শ। কোনো ব্যক্তির আওয়ামী লীগ অফিসের জন্য তার প্রটোকল দেওয়ার কোনো দরকার নেই। অনুগ্রহ করে আমি এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীতে চালানো তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেই আগুন সন্ত্রাস, সেই সন্ত্রাস কী বীভৎস, কী নারকীয় ধ্বংসলীলা, কী তাণ্ডব, হিংস্রতা এই বাংলাদেশে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালেও বাংলাদেশে অনেক মানুষ, অনেক স্থাপনা, এবার তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যে অর্জন তাতে আাঘাত করেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে এ সময় মুখোশধারী ও ভণ্ড মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পলাশীতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সাথে সেদিন যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তারা ছিল আপন মানুষ। ঠিক একই চিত্র ৭৫ এর ১৫ আগস্ট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (মুশতাক–জিয়া) উত্তরসূরিরা বাংলাদেশে যে নষ্ট রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জঙ্গিবাদী রাজনীতি প্রবর্তন করেছিল, তা আমাদের জানতে হবে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে এদের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

জনগণের প্রতিরোধের মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে জনগণের প্রতিরোধের মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রতিরোধে মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা কিন্তু সফল হয়েছে সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আক্রমণ করতে সফল হয়েছে।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমাদের লড়তে হবে এক সঙ্গে। মান অভিমান সব ভুলে যেতে হবে।

অশুভ শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনাই এই মুহূর্তে আমাদের অস্তিত্বের কাণ্ডারি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউকে বসিয়ে রাখব না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্র নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। সে কথা আজ জানিয়ে দেওয়া হলো। যাকে যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে, মনে রাখতে হবে; এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমরা ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করব। এটা আমি দলের সভাপতির পক্ষ থেকে আপনাদের বলছি। সংকটে যারা ঝুঁকি নেবেন, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন থাকবে।

যারা কোনো কাজ করবে না, শুধু অফিসে এসে প্রটোকল দেবেন এমন নেতাকর্মীদের দরকার নেই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রটোকল দরকার নেই। আমাদের প্রটোকল আমাদের আদর্শ। আমাদের প্রটোকল আমাদের রাজনীতির আদর্শ। কোনো ব্যক্তির আওয়ামী লীগ অফিসের জন্য তার প্রটোকল দেওয়ার কোনো দরকার নেই। অনুগ্রহ করে আমি এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীতে চালানো তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেই আগুন সন্ত্রাস, সেই সন্ত্রাস কী বীভৎস, কী নারকীয় ধ্বংসলীলা, কী তাণ্ডব, হিংস্রতা এই বাংলাদেশে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালেও বাংলাদেশে অনেক মানুষ, অনেক স্থাপনা, এবার তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যে অর্জন তাতে আাঘাত করেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে এ সময় মুখোশধারী ও ভণ্ড মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পলাশীতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সাথে সেদিন যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তারা ছিল আপন মানুষ। ঠিক একই চিত্র ৭৫ এর ১৫ আগস্ট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (মুশতাক–জিয়া) উত্তরসূরিরা বাংলাদেশে যে নষ্ট রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জঙ্গিবাদী রাজনীতি প্রবর্তন করেছিল, তা আমাদের জানতে হবে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে এদের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।