Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল হয় না : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল হয় না। বিএনপি নানা রকম আন্দোলন ও কর্মসূচি করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ নেই। সে জন্য বিএনপির কোনো আন্দোলন কখনো সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তাদের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন আজকে সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে। দেশের উন্নয়ন আজ সারা পৃথিবীতে নন্দিত ও প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এমডিজির সকল লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্জন করেছিলাম। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনই ছিল কৃষিনির্ভর মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় কৃষকদের কথা ভাবতেন। কৃষির উন্নয়নের কথা ভাবতেন। তার সারাজীবনই ছিল কৃষি নির্ভর।

এসময় দেশে সবজির উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সবজি উৎপাদন ছিল মাত্র ৩০ লাখ টন। আর এ ১৪ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টন। এটি একটি অবিস্মরণীয় সাফল্য। এটি একটি মিরাকেল বা যাদু। আলাদীনের প্রদীপ পেলেও এমন সাফল্য সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের সাফল্যও আজ বিশ্বের বিস্ময়। বিগত ১৫ বছরে চালের উৎপাদন বেড়েছে ১ কোটি টন, ভুট্টার উৎপাদন ৫৫ লাখ টন, আলুর উৎপাদন ৫৫ লাখ টন, আর সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২ কোটি টন। উৎপাদনের এই সাফল্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। উন্নয়নশীল দেশগুলো এটিকে অনুসরণ করতে চায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়াও সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি-সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল হয় না : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল হয় না। বিএনপি নানা রকম আন্দোলন ও কর্মসূচি করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ নেই। সে জন্য বিএনপির কোনো আন্দোলন কখনো সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তাদের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন আজকে সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে। দেশের উন্নয়ন আজ সারা পৃথিবীতে নন্দিত ও প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এমডিজির সকল লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্জন করেছিলাম। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনই ছিল কৃষিনির্ভর মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় কৃষকদের কথা ভাবতেন। কৃষির উন্নয়নের কথা ভাবতেন। তার সারাজীবনই ছিল কৃষি নির্ভর।

এসময় দেশে সবজির উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সবজি উৎপাদন ছিল মাত্র ৩০ লাখ টন। আর এ ১৪ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টন। এটি একটি অবিস্মরণীয় সাফল্য। এটি একটি মিরাকেল বা যাদু। আলাদীনের প্রদীপ পেলেও এমন সাফল্য সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের সাফল্যও আজ বিশ্বের বিস্ময়। বিগত ১৫ বছরে চালের উৎপাদন বেড়েছে ১ কোটি টন, ভুট্টার উৎপাদন ৫৫ লাখ টন, আলুর উৎপাদন ৫৫ লাখ টন, আর সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২ কোটি টন। উৎপাদনের এই সাফল্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। উন্নয়নশীল দেশগুলো এটিকে অনুসরণ করতে চায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়াও সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি-সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর বক্তব্য রাখেন।