নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে গ্রাম-গঞ্জের জনগণ একাট্টা হয়ে গেছে। জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং তোপখানা রোডে ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণের আগে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সরকার ভাই ভাইয়ে যে একদলীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে, সেই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। কারণ আমরা আজকে পঞ্চম দিন লিফলেট বিতরণের কর্মসূচিতে পাড়া থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে যে অনুভূতিটা জনগণের কাছ থেকে পাচ্ছি, মানুষের কাছ থেকে পাচ্ছি, ভোটারের কাছ থেকে পাচ্ছি, তারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কারণ কি? কারণ এটা একটি একদলীয় নির্বাচন। যারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তারা সবাই এক দলের বা এক দলের সমর্থক। তাদের নেতা এক, তাদের সভাপতি এক। সেই কারণে জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।
ভোট প্রতিহত করবেন কিনা জানতে চাইলে ফারুক বলেন, আমরা জনগণকে এই ভোট বর্জনের কথা বলছি। বলছি ভোটের দিন ঘরে থাকুন, কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আমরা প্রতিহত শব্দটা এখন বলছি না। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করছি। আমরা কি করবে এখনো সময় আমাদের আছে। আর ২০১৮ সালে বিশ্বাস করে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। সেই বিশ্বাস সরকার ভঙ্গ করেছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে প্রমাণ করেছে যে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ‘১৮ সালের দিনের ভোট রাতে করেছে সেই নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে পারবে, কিন্তু আমি আগেই বলেছি, শুক্রবারের পর শনিবার আসে, রোববারের পর সোমবার আসে।
৭ জানুয়ারি ভোট হচ্ছে, বিএনপি কি করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনে আছি, আমরা চেষ্টা করছি যে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনে রাজপথে থাকব, সরকারের একদলীয় নির্বাচনের প্রতিবাদ করে যাব। আমরা মনে করি, ৭ জানুয়ারি ২০১৪ সালের মতো আরেকটি ভোটবিহীন নির্বাচন সরকার করবে।
পরে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক পথচারী, দোকানদারসহ সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।