Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছুটির দিনেও রাজধানীতে যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন রাজধানীর সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকার থাকলেও হয়নি তা। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছিল গাড়ির জটলা। ঘণ্টাভর আটকে গাড়ি আটকে ছিল রাস্তায়। ফলে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মহাখালী থেকে গুলশান সড়কে এমন পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। যদিও পরে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এখন যান চলাচল করতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ মে) ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল মহাখালীর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ফলে একযোগে সকল পরীক্ষার্থী আসে কেন্দ্রগুলোতে। তারা সকালে গুচ্ছ গুচ্ছ হয়েই প্রবেশ করেন। কিন্তু সকাল ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলে একযোগে বের হতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে। এ সময় হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এক সাথে রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করেন। অন্যদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী মূল ক্যাম্পাসে চলছিল শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের গাড়ি নিয়ে আসেন। কেউ আবার তাদের সন্তানকে নামিতে দিতে এসেছিল। আর এসব গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করায় প্রধান সড়ক হয়ে চলাচলকারী গাড়িগুলো থমকে ছিল। প্রায় এক ঘণ্টা মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার সড়কে সকল যানবাহন থমকে থাকায় অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন। বিশেষ করে যারা মহাখালী থেকে নতুনবাজার আসছিলেন।

মেয়েকে নিয়ে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন আব্দুল জলিল। তিনি জানান, তার মেয়ের পরীক্ষা শেষ করেই তিনি তাকে নিয়ে মহাখালী থেকে নতুন বাজার যাবেন বলে বাসে উঠেছেন। কিন্তু তখন পৌনে ১২টা বাজলেও তিনি বাসে বসে মহাখালী থেকে মাত্র ২০ গজ সামনে এগোতে পেরেছেন। অবশ্য পরে ১২টার পর সচল হয়ে যায় এই সড়ক। ধীরে ধীরে যানবাহন চলতে শুরু করে।

এদিকে গাড়ির জট অন্যদিকে কড়া রোদে যানবাহনে বসে গরমে ঘাম ছুটেছে যাত্রীদের। উপায় না দেখে অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন। আর মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার রাস্তা পুরোটাই থমকে থাকায় এই রুটে বাসগুলোর অধিকাংশই আমতলীতে ঘুরিয়ে আবারও মহাখালী রেলগেটের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে। এতে মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা পড়েন বিপাকে।

সাভার থেকে বৈশাখী পরিবহনে গুলশান জরুরি কাজে এসেছিলেন লিটন সরকর। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলছিলেন, মহাখালীতে হেলপার গাড়ি ঘুরিয়ে সবাইকে নামিয়ে দিলেন। এখন মহাখালী থেকে গুলশান কীভাবে যাব? শুধু লিটন নয়, তার মতো অনেকেই আজ এমন ভোগান্তিতে পড়েন। তবে বাসচালক ও হেলপারদের ভাষ্য— যেহেতু মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার সড়ক পুরোটাই বন্ধ। আর কখন বাস চলা শুরু করে এই আশঙ্কায় তারা বাসগুলো ঘুরিয়ে দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর বিভাগের ট্রাফিক বিভাগের গুলশান জোনের এসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ডেন্টাল ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও সেমিস্টার পরীক্ষা ছিল। এ কারণে মূলত যানজট তৈরি হয়েছিল। তবে এখন স্বাভাবিক হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

ছুটির দিনেও রাজধানীতে যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী

প্রকাশের সময় : ০৩:১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন রাজধানীর সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকার থাকলেও হয়নি তা। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছিল গাড়ির জটলা। ঘণ্টাভর আটকে গাড়ি আটকে ছিল রাস্তায়। ফলে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মহাখালী থেকে গুলশান সড়কে এমন পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। যদিও পরে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এখন যান চলাচল করতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ মে) ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল মহাখালীর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ফলে একযোগে সকল পরীক্ষার্থী আসে কেন্দ্রগুলোতে। তারা সকালে গুচ্ছ গুচ্ছ হয়েই প্রবেশ করেন। কিন্তু সকাল ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলে একযোগে বের হতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে। এ সময় হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এক সাথে রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করেন। অন্যদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী মূল ক্যাম্পাসে চলছিল শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের গাড়ি নিয়ে আসেন। কেউ আবার তাদের সন্তানকে নামিতে দিতে এসেছিল। আর এসব গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করায় প্রধান সড়ক হয়ে চলাচলকারী গাড়িগুলো থমকে ছিল। প্রায় এক ঘণ্টা মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার সড়কে সকল যানবাহন থমকে থাকায় অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন। বিশেষ করে যারা মহাখালী থেকে নতুনবাজার আসছিলেন।

মেয়েকে নিয়ে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন আব্দুল জলিল। তিনি জানান, তার মেয়ের পরীক্ষা শেষ করেই তিনি তাকে নিয়ে মহাখালী থেকে নতুন বাজার যাবেন বলে বাসে উঠেছেন। কিন্তু তখন পৌনে ১২টা বাজলেও তিনি বাসে বসে মহাখালী থেকে মাত্র ২০ গজ সামনে এগোতে পেরেছেন। অবশ্য পরে ১২টার পর সচল হয়ে যায় এই সড়ক। ধীরে ধীরে যানবাহন চলতে শুরু করে।

এদিকে গাড়ির জট অন্যদিকে কড়া রোদে যানবাহনে বসে গরমে ঘাম ছুটেছে যাত্রীদের। উপায় না দেখে অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন। আর মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার রাস্তা পুরোটাই থমকে থাকায় এই রুটে বাসগুলোর অধিকাংশই আমতলীতে ঘুরিয়ে আবারও মহাখালী রেলগেটের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে। এতে মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা পড়েন বিপাকে।

সাভার থেকে বৈশাখী পরিবহনে গুলশান জরুরি কাজে এসেছিলেন লিটন সরকর। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলছিলেন, মহাখালীতে হেলপার গাড়ি ঘুরিয়ে সবাইকে নামিয়ে দিলেন। এখন মহাখালী থেকে গুলশান কীভাবে যাব? শুধু লিটন নয়, তার মতো অনেকেই আজ এমন ভোগান্তিতে পড়েন। তবে বাসচালক ও হেলপারদের ভাষ্য— যেহেতু মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার সড়ক পুরোটাই বন্ধ। আর কখন বাস চলা শুরু করে এই আশঙ্কায় তারা বাসগুলো ঘুরিয়ে দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর বিভাগের ট্রাফিক বিভাগের গুলশান জোনের এসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ডেন্টাল ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও সেমিস্টার পরীক্ষা ছিল। এ কারণে মূলত যানজট তৈরি হয়েছিল। তবে এখন স্বাভাবিক হয়েছে।