নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনের ছাদবাগানে কাঁচামরিচ হয়েছে। সেখানে টবে কাঁচামরিচ গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি। ফলন এসেছে কাঁচামরিচ গাছগুলোতে। ছাদবাগানে কাঁচামরিচের পাশাপাশি হয়েছে ধনেপাতা, করমচা ও আনারস। আর সে ছবি নিজেই মুঠোফোনে তুলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চিত্রগ্রাহক সাংবাদিক ইয়াসিন কবির জয়।
ইয়াসিন কবির জয় বলেন, ছাদবাগানে আরো হয়েছে ধনেপাতা, করমচা ও আনারস। বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু মুখেই বলেন না, সবাইকে যা করতে বলেন নিজে তা করে দেখান। একটি পরিবারের যতটুকু সবজি প্রয়োজন, তার অনেকটাই ছাদে বা বারান্দায় টবে চাষ করে মেটানো সম্ভব। সম্ভব প্রতিবেশীর প্রয়োজন মেটানো। আর এ বার্তাই সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি যখন শুরু হয়, তখন খাদ্য সংকট মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে প্রত্যেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আহ্বান জানিয়েই থেমে থাকেননি তিনি, নিজের বাসভবনে গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। গণভবনের প্রতিটি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলিয়েছেন। গণভবনে তিনি চাল, ডাল থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, হলুদ, মরিচ, তেজপাতা-ধনেপাতাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিও আবাদ করেছেন। শুধু গণভবনেই নয়, ফসল ফলিয়েছেন তিনি টুঙ্গিপাড়ার পৈত্রিক জমিতেও। সেই ফসল গণভবনে নিয়ে এসে বিলিয়েও দিয়েছেন সবার মধ্যে।
সরকারপ্রধান হয়েও কৃষি অনুশীলনে নেমেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। মাটি ও ফসলের সংস্পর্শে সম্পৃক্ত রেখেছেন নিজেকে। সবাইকে উৎসাহ দিতে সৃষ্টি করেছেন দৃষ্টান্ত। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকন্যার দেখানো পথ ধরেই পরিণত হবে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে।