Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

টাঙ্গাইলে ছাত্র প্রতিনিধির পরিচয় ব্যবহার করে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের টাঙ্গাইল শহরের ছোটকালীবাড়িস্থ ছয়তলা বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে প্রায় ২৫ জন ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে এই আশ্রম চালু করেন তিনি।

ওই তরুণীর নাম মারইয়াম মুকাদ্দাস ওরফে মিষ্টি। তিনি নিজেকে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক হিসেবে পরিচয় দেন।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার ভবন জবর দখল করা প্রসঙ্গে ছাত্র সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জানান, ফেসবুকে পূর্বঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সকল নেতাদের বাড়িতে পাগলদের জন্য ‘আশ্রম’ গড়ে তোলা হবে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে তালা ভেঙে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের ছয়তলা ভবনে প্রবেশ করা হয়েছে। ওই বাসায় আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের ২০ জন পাগল রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, এটাকে জবরদখল বলা যাবে না, কারণ কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যবহারের জন্য ভবনটি নেওয়া হয়নি। সমাজের অবহেলিত পাগলদের জন্য আশ্রম করা হচ্ছে। এটাকে অন্য সমন্বয়করা তাকে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, জেয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে একজন লোক এসে জানায় ‘বাসা না ভেঙে সেখানে যেন আশ্রম করা হয়’। তার প্রস্তাব অনুযায়ী পাগলদের আশ্রমই তৈরি করা হয়েছে। তবে এ কথা কে বলেছে তার নাম-পরিচয় বলতে পারেননি সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি। আবাসিক এলাকায় পাগলের আশ্রম তৈরি করায় স্থানীয়রা অস্বস্তি প্রকাশ করলেও তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।

এক প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জানান, আবাসিক এলাকার মানুষের জীবন-যাত্রায় যদি পাগলদের কোনো প্রভাব পড়ে, তাহলে যারা বেশি পাগল তাদেরকে অন্যকোনো আওয়ামী লীগের নেতার বাসায় স্থানান্তর করে কম পাগলদের এখানে রাখা হবে।

দুপুর ১২টার দিকে জোয়াহেরুল ইসলামের শহরের বাড়িটি দখলের সময় সেখানে সাবেক এই সংসদ সদস্যের পরিবারের কেউ ছিলেন না।

বেলা তিনটার দিকে শহরের আকুরটাকুর ছোট কালিবাড়ী এলাকায় জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছয়তলা ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন বয়সের ১১ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ অবস্থান করছেন। আরও লোকজন ছিলেন ভবনটির তৃতীয় তলায়। সেখানে অবস্থান করছিলেন মারইয়াম মুকাদ্দাস নামের ওই তরুণী।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারইয়াম মুকাদ্দাসের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

দুই দিন আগে মারইয়াম মুকাদ্দাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা পাগলের আশ্রম, প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাসা প্রতিবন্ধীদের আশ্রম, সাবেক এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বাসা অ্যানিমেল শেল্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেলের বাসা বৃদ্ধাশ্রম, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বাসা এতিমখানা এবং আওয়ামী লীগ অফিস পাবলিক টয়লেট করা হবে। সেখানে তিনি আরও লিখেছিলেন ‘আরও নাম সাজেস্ট করুন, তথ্য দিন। একেক করে সমাজের ও টাঙ্গাইলের উন্নয়নের কাজে লাগুক আওয়ামী লীগের অবৈধ সম্পদ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জোয়াহেরুল ইসলাম আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ অর্ধ ডজন মামলা আছে। তাঁর বাড়ি দখলের বিষয়ে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তাঁর মেয়ে জাকিয়া ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় তাঁদের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তাঁদের পরিবারের প্রায় সবার নামেই মামলা থাকায় বাড়িতে থাকছেন না। তিনি বলেন, ‘দেশে আইন নেই, প্রশাসন নেই, তাই এমন অরাজকতা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক আল আমিন জানান, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি নামক একজন নারী ছাত্র প্রতিনিধি তথা সমন্বয়ক পরিচয়ে জনৈক আ’লীগ নেতার বাসায় পাগলের আশ্রম করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তারা এটাকে কোনভাবেই সমর্থন করেন না। তাছাড়া মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিল- তাই বলে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এটা ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবে না। কারো বাড়ি দখল করার কোন কার্যক্রম তারা হাতে নেননি। যে কেউ এরকম কাজ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে ফেলেছেন-সেখানে ছাত্র প্রতিনিধি বা সমন্বয়ক বলতে আর কিছু থাকে বলে তার মনে হয় না। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম স্বপরিবারে আত্মগোপণে রয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

টাঙ্গাইলে ছাত্র প্রতিনিধির পরিচয় ব্যবহার করে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের টাঙ্গাইল শহরের ছোটকালীবাড়িস্থ ছয়তলা বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে প্রায় ২৫ জন ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে এই আশ্রম চালু করেন তিনি।

ওই তরুণীর নাম মারইয়াম মুকাদ্দাস ওরফে মিষ্টি। তিনি নিজেকে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক হিসেবে পরিচয় দেন।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার ভবন জবর দখল করা প্রসঙ্গে ছাত্র সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জানান, ফেসবুকে পূর্বঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সকল নেতাদের বাড়িতে পাগলদের জন্য ‘আশ্রম’ গড়ে তোলা হবে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে তালা ভেঙে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের ছয়তলা ভবনে প্রবেশ করা হয়েছে। ওই বাসায় আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের ২০ জন পাগল রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, এটাকে জবরদখল বলা যাবে না, কারণ কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যবহারের জন্য ভবনটি নেওয়া হয়নি। সমাজের অবহেলিত পাগলদের জন্য আশ্রম করা হচ্ছে। এটাকে অন্য সমন্বয়করা তাকে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, জেয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে একজন লোক এসে জানায় ‘বাসা না ভেঙে সেখানে যেন আশ্রম করা হয়’। তার প্রস্তাব অনুযায়ী পাগলদের আশ্রমই তৈরি করা হয়েছে। তবে এ কথা কে বলেছে তার নাম-পরিচয় বলতে পারেননি সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি। আবাসিক এলাকায় পাগলের আশ্রম তৈরি করায় স্থানীয়রা অস্বস্তি প্রকাশ করলেও তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।

এক প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জানান, আবাসিক এলাকার মানুষের জীবন-যাত্রায় যদি পাগলদের কোনো প্রভাব পড়ে, তাহলে যারা বেশি পাগল তাদেরকে অন্যকোনো আওয়ামী লীগের নেতার বাসায় স্থানান্তর করে কম পাগলদের এখানে রাখা হবে।

দুপুর ১২টার দিকে জোয়াহেরুল ইসলামের শহরের বাড়িটি দখলের সময় সেখানে সাবেক এই সংসদ সদস্যের পরিবারের কেউ ছিলেন না।

বেলা তিনটার দিকে শহরের আকুরটাকুর ছোট কালিবাড়ী এলাকায় জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছয়তলা ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন বয়সের ১১ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ অবস্থান করছেন। আরও লোকজন ছিলেন ভবনটির তৃতীয় তলায়। সেখানে অবস্থান করছিলেন মারইয়াম মুকাদ্দাস নামের ওই তরুণী।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারইয়াম মুকাদ্দাসের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

দুই দিন আগে মারইয়াম মুকাদ্দাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা পাগলের আশ্রম, প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাসা প্রতিবন্ধীদের আশ্রম, সাবেক এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বাসা অ্যানিমেল শেল্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেলের বাসা বৃদ্ধাশ্রম, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বাসা এতিমখানা এবং আওয়ামী লীগ অফিস পাবলিক টয়লেট করা হবে। সেখানে তিনি আরও লিখেছিলেন ‘আরও নাম সাজেস্ট করুন, তথ্য দিন। একেক করে সমাজের ও টাঙ্গাইলের উন্নয়নের কাজে লাগুক আওয়ামী লীগের অবৈধ সম্পদ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জোয়াহেরুল ইসলাম আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ অর্ধ ডজন মামলা আছে। তাঁর বাড়ি দখলের বিষয়ে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তাঁর মেয়ে জাকিয়া ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় তাঁদের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তাঁদের পরিবারের প্রায় সবার নামেই মামলা থাকায় বাড়িতে থাকছেন না। তিনি বলেন, ‘দেশে আইন নেই, প্রশাসন নেই, তাই এমন অরাজকতা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক আল আমিন জানান, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি নামক একজন নারী ছাত্র প্রতিনিধি তথা সমন্বয়ক পরিচয়ে জনৈক আ’লীগ নেতার বাসায় পাগলের আশ্রম করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তারা এটাকে কোনভাবেই সমর্থন করেন না। তাছাড়া মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিল- তাই বলে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এটা ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবে না। কারো বাড়ি দখল করার কোন কার্যক্রম তারা হাতে নেননি। যে কেউ এরকম কাজ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে ফেলেছেন-সেখানে ছাত্র প্রতিনিধি বা সমন্বয়ক বলতে আর কিছু থাকে বলে তার মনে হয় না। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম স্বপরিবারে আত্মগোপণে রয়েছেন।