Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ৪৮ দিন পর মারা গেলেন নয়ন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২২২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগান ঢাল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত নয়ন মিয়া (২৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ওই এলাকায় একটি গ্যারেজে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মো. লোকমান হোসেনের ছেলে নয়ন। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। একই উপজেলার এরশাদুল এর মেয়ে রীতা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে। তিনি রাজধানীর কাঁঠালবাগানের ঢালে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহতের শ্বশুর মো. এরশাদুল জানিয়েছেন, কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগান ঢালে বাংলামোটর রাস্তায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সহিংসতার চলাকালে একটি গুলি তার মাথায় লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে মরদেহ পেতে ভোগান্তির অভিযোগও করেছেন মো. এরশাদুল। তিনি বলেন, মারা যাওয়ার পর হাসপাতালের কার্যক্রম শেষে আমরা গিয়েছিলাম কলাবাগান থানায়। কিন্তু তারা বলছেন, এ কাজ আমাদের না, আপনারা শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করেন। এভাবেই সকাল থেকে ঘুরছি। মরদেহ পড়ে আছে মর্গে। মর্গ থেকে বলছে, কাগজ (সুরতহাল) করে না দিলে আমাদের তো কিছু করার নেই।‘

পরে সন্ধ্যার দিকে আবার এ বিষয়ে জানতে তাকে ফোন দিলে জানান, এখন পুলিশ এসেছে মর্গে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। রাতেই মরদেহ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ৪৮ দিন পর মারা গেলেন নয়ন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগান ঢাল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত নয়ন মিয়া (২৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ওই এলাকায় একটি গ্যারেজে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মো. লোকমান হোসেনের ছেলে নয়ন। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। একই উপজেলার এরশাদুল এর মেয়ে রীতা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে। তিনি রাজধানীর কাঁঠালবাগানের ঢালে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহতের শ্বশুর মো. এরশাদুল জানিয়েছেন, কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগান ঢালে বাংলামোটর রাস্তায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সহিংসতার চলাকালে একটি গুলি তার মাথায় লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে মরদেহ পেতে ভোগান্তির অভিযোগও করেছেন মো. এরশাদুল। তিনি বলেন, মারা যাওয়ার পর হাসপাতালের কার্যক্রম শেষে আমরা গিয়েছিলাম কলাবাগান থানায়। কিন্তু তারা বলছেন, এ কাজ আমাদের না, আপনারা শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করেন। এভাবেই সকাল থেকে ঘুরছি। মরদেহ পড়ে আছে মর্গে। মর্গ থেকে বলছে, কাগজ (সুরতহাল) করে না দিলে আমাদের তো কিছু করার নেই।‘

পরে সন্ধ্যার দিকে আবার এ বিষয়ে জানতে তাকে ফোন দিলে জানান, এখন পুলিশ এসেছে মর্গে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। রাতেই মরদেহ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।