Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হাইতির প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বহিষ্কার করেছে দেশটির ট্রানজিশনাল প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি)।

রোববার (১০ নভেম্বর) এক নির্বাহী আদেশে টিপিসির ৯ সদস্যের মধ্যে ৮ জনই জানিয়েছেন, সাবেক সেনেট প্রার্থী ও ব্যবসায়ী অ্যালিক্স ডিডিয়ার ফিলস-এইম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কনিলের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘবদ্ধ অপরাধীদের হাতে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়লে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা গ্যারি কনিলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয় টিপিসি। গত ৩ জুন তিনি শপথ নেন।

কনিলের কাছে আশা করা হয়েছিল, হাইতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে সহায়তা করবেন তিনি। ২০১৬ সালের পর দেশটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেখেনি। কিন্তু ক্ষমতায় বসার ৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে তার কাছ থেকে সেই সুযোগ কেড়ে নিয়েছে টিপিসি।

হাইতিতে এ মুহূর্তে কোনও প্রেসিডেন্ট বা পার্লামেন্ট নেই। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কেবল পার্লামেন্টই পারে।

এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কারের ঘটনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনিল। এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, “আইনি ও সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গভীর সন্দেহের অবকাশ আছে।”

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতি। হাইতির সংঘবদ্ধ অপরাধীদের চাপে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন কনিলের পূর্বসুরি এরিয়েল হেনরি। এরপর দেশটির মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে টিপিসি নামে এক অস্থায়ী পরিষদ।

সংঘবদ্ধ অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে জেরবার ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয় টিপিসিকে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতিতে ৩ হাজার ৬শ’র বেশি মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। ৫ লাখের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

হাইতির অন্যতম ক্ষমতাশালী সংঘবদ্ধ অপরাধীদের নেতা জিমি শেরিজিয়ার ওরফে বারবিকিউ বলেছিলেন, দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় যুক্ত করার অনুমোদন দিলে তারা সহিংসতা বন্ধে রাজি আছে।

৮ বছর আগে ২০১৬ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জোভেনেল মইসি। ২০২১ সালে তাকে হত্যা করা হয়। তখন থেকেই হাইতির প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য। এই সুযোগে জিমি শেরিজিয়ারের মতো অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হাইতির প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বহিষ্কার করেছে দেশটির ট্রানজিশনাল প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি)।

রোববার (১০ নভেম্বর) এক নির্বাহী আদেশে টিপিসির ৯ সদস্যের মধ্যে ৮ জনই জানিয়েছেন, সাবেক সেনেট প্রার্থী ও ব্যবসায়ী অ্যালিক্স ডিডিয়ার ফিলস-এইম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কনিলের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘবদ্ধ অপরাধীদের হাতে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়লে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা গ্যারি কনিলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয় টিপিসি। গত ৩ জুন তিনি শপথ নেন।

কনিলের কাছে আশা করা হয়েছিল, হাইতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে সহায়তা করবেন তিনি। ২০১৬ সালের পর দেশটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেখেনি। কিন্তু ক্ষমতায় বসার ৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে তার কাছ থেকে সেই সুযোগ কেড়ে নিয়েছে টিপিসি।

হাইতিতে এ মুহূর্তে কোনও প্রেসিডেন্ট বা পার্লামেন্ট নেই। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কেবল পার্লামেন্টই পারে।

এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কারের ঘটনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনিল। এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, “আইনি ও সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গভীর সন্দেহের অবকাশ আছে।”

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতি। হাইতির সংঘবদ্ধ অপরাধীদের চাপে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন কনিলের পূর্বসুরি এরিয়েল হেনরি। এরপর দেশটির মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে টিপিসি নামে এক অস্থায়ী পরিষদ।

সংঘবদ্ধ অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে জেরবার ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয় টিপিসিকে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতিতে ৩ হাজার ৬শ’র বেশি মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। ৫ লাখের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

হাইতির অন্যতম ক্ষমতাশালী সংঘবদ্ধ অপরাধীদের নেতা জিমি শেরিজিয়ার ওরফে বারবিকিউ বলেছিলেন, দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় যুক্ত করার অনুমোদন দিলে তারা সহিংসতা বন্ধে রাজি আছে।

৮ বছর আগে ২০১৬ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জোভেনেল মইসি। ২০২১ সালে তাকে হত্যা করা হয়। তখন থেকেই হাইতির প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য। এই সুযোগে জিমি শেরিজিয়ারের মতো অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে।