নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
শুক্রবার (৭ জুন) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
এর আগে সৌদি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এর মানে হলো সৌদি আরবে আগামী ১৬ জুন (রোববার) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে এবং ১৫ জুন (শনিবার) হবে আরাফার দিন।
এ দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এখনো চাঁদ দেখা যায়নি। তাই এই দুই দেশে শনিবার থেকে জিলহজ মাস শুরু হবে এবং সৌদি আরবের পরের দিন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তার মানে হলো এ দুই দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদ হবে।
বৃহস্পতিবার কাতার, কুয়েত, জর্ডান, সিরিয়া, ইরাক এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জিলহজের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হলেও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ১৭ জুন দেশগুলোতে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলিম নাগরিকরা।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ হিসেবেও পরিচিত। নামাজ আদায় ও পশু কোরবানির মাধ্যমে এই ঈদ উদযাপন করা হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ইসলামের ১২ মাসের সূচনা হয়। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে হজ ও পবিত্র ঈদুল আজহার দিন নির্ধারণ করা হয়। সেই অনুযায়ী, ঈদুল আজহার প্রথম দিন জিলহজ মাসের ১০ম দিনে পড়ে। আর পবিত্র আরাফাহ দিবস পালন করা হয় জিলহজ মাসের নবম দিনে।
পবিত্র ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলিমরা গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট প্রভৃতি কোরবানি করেন। আরাফাহর দিনে হজযাত্রীরা আরাফাহ ময়দানে প্রার্থনা করার জন্য একত্রিত হন; যেখানে ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার চূড়ান্ত খুতবা দিয়েছিলেন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনে রোজাও রাখেন।