Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

চলতি বর্ষা মৌসুমে যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। অনেক জায়গায় সড়কের ওপর হাঁটু কাদা। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। দুর্ভোগের শেষ থাকছে না পথচারীদের। যদিও সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ‘সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সংস্কার এবং নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বসুন্দিয়া থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার। এই মহাসড়কে শ’ শ’ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটি গ্রামের কোনো কাঁচা রাস্তা। এ অবস্থায় যেমন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, তেমনি স্থবির হয়ে পড়েছে শিল্প শহর নওয়াপাড়া কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যও। এই মহাসড়কটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর, মোংলা বন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে।

হেলাল হোসেন নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, এই মহাসড়কের পাশে আমাদের বাড়ি। গত তিন-চার বছর ধরে মহাসড়কটির উন্নয়নকাজ চলছে। তবে একপাশে সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই অন্যপাশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আলম নামে এক ট্রাকচালক বলেন, রূপদিয়া থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বিশেষ করে চেঙ্গুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় হাঁটু কাদা হওয়ায় গাড়ি চালানো কঠিন হচ্ছে। অনেক গাড়ি এক্সেল ভেঙে আটকে যাচ্ছে। গাড়ি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই বাস-ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, নওয়াপাড়া শুধু একটি নৌবন্দর না, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহরও। এখানকার মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানিকৃত সার খালাস করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ভরা মৌসুমে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সরবরাহ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যশোর-বেনাপোল এবং যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের অবস্থাও একই রকম।

সড়ক-মহাসড়কের দুর্ভোগের বিষয়ে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের একাধিক অংশে মাটির গুণাগুণ খারাপ। আবার ওভারলোডের যানবাহন চলাচলের কারণে দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। বুয়েটের পরামর্শে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে চার কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ২ দশমিক ৩ কিলোমিটারের কাজ চলছে। এর বাইরে আরো আট কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা করা হবে। সব কাজ শেষ হতে দেড় বছর লাগতে পারে। এটি হলে দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

চলতি বর্ষা মৌসুমে যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। অনেক জায়গায় সড়কের ওপর হাঁটু কাদা। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। দুর্ভোগের শেষ থাকছে না পথচারীদের। যদিও সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ‘সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সংস্কার এবং নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বসুন্দিয়া থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার। এই মহাসড়কে শ’ শ’ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটি গ্রামের কোনো কাঁচা রাস্তা। এ অবস্থায় যেমন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, তেমনি স্থবির হয়ে পড়েছে শিল্প শহর নওয়াপাড়া কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যও। এই মহাসড়কটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর, মোংলা বন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে।

হেলাল হোসেন নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, এই মহাসড়কের পাশে আমাদের বাড়ি। গত তিন-চার বছর ধরে মহাসড়কটির উন্নয়নকাজ চলছে। তবে একপাশে সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই অন্যপাশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আলম নামে এক ট্রাকচালক বলেন, রূপদিয়া থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বিশেষ করে চেঙ্গুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় হাঁটু কাদা হওয়ায় গাড়ি চালানো কঠিন হচ্ছে। অনেক গাড়ি এক্সেল ভেঙে আটকে যাচ্ছে। গাড়ি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই বাস-ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, নওয়াপাড়া শুধু একটি নৌবন্দর না, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহরও। এখানকার মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানিকৃত সার খালাস করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ভরা মৌসুমে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সরবরাহ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যশোর-বেনাপোল এবং যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের অবস্থাও একই রকম।

সড়ক-মহাসড়কের দুর্ভোগের বিষয়ে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের একাধিক অংশে মাটির গুণাগুণ খারাপ। আবার ওভারলোডের যানবাহন চলাচলের কারণে দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। বুয়েটের পরামর্শে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে চার কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ২ দশমিক ৩ কিলোমিটারের কাজ চলছে। এর বাইরে আরো আট কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা করা হবে। সব কাজ শেষ হতে দেড় বছর লাগতে পারে। এটি হলে দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।