Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে : বিশ্বব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, শিল্পে প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়া এবং বন্যায় কৃষির প্রবৃদ্ধি মাঝারি মানের হবে বলে ধারণা করছে বহুজাতিক এই অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ডেভলপমেন্ট আপডেট অক্টোবর ২০২৪: উইমেন, জবস অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে বিশ্বব্যাংক এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন সেখান থেকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্ট কমল। গত সরকারের আমলে ঘোষিত বাজেটে চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

সংস্থাটি বলছে, আগামী দুই বছরের জন্য এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশে শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে।

বিশ্বব্যাংক বুধবার (৯ অক্টোবর) ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রকাশ উপলক্ষে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের কয়েকজন সাংবাদিক যুক্ত হন।

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে প্রতিশ্রুতিশীল, তবে এই অঞ্চলটি তার পূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে। আরও বেশি নারীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। প্রয়োজনে মূল নীতি সংস্কার করতে হবে তাহলে প্রবৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে। আমাদের গবেষণা দেখায় যে এই অঞ্চলে পুরুষদের তুলনায় নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার আঞ্চলিক জিডিপি ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’

বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাজনীতি ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগ ও শিল্পের প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংক বলেছে, তাদের প্রাক্কলন হলো গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছরের ক্ষেত্রেও তার নিম্নমুখী সংশোধন এনেছে। বিশ্বব্যাংকের আগের প্রাক্কলন ছিল, গত অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

সংস্থাটি আরও জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২৩ সালে মাত্র ৩২ শতাংশ কর্মজীবী নারী শ্রমশক্তিতে ছিলেন, যেখানে এই অঞ্চলের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী পুরুষের তুলনায় কম। ভুটান ব্যতীত সমস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ২০২৩ সালে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার একই স্তরের উন্নয়নের দেশগুলির তুলনায় ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পয়েন্ট কম ছিল। নারী শ্রমশক্তিতে এই ঘাটতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিয়ের পর। গড়ে, একবার বিবাহিত, দক্ষিণ এশিয়ার নারী শ্রমশক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ ১২ শতাংশ কমিয়ে দেয়, এমনকি তাদের সন্তান হওয়ার আগেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে : বিশ্বব্যাংক

প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, শিল্পে প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়া এবং বন্যায় কৃষির প্রবৃদ্ধি মাঝারি মানের হবে বলে ধারণা করছে বহুজাতিক এই অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ডেভলপমেন্ট আপডেট অক্টোবর ২০২৪: উইমেন, জবস অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে বিশ্বব্যাংক এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন সেখান থেকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্ট কমল। গত সরকারের আমলে ঘোষিত বাজেটে চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

সংস্থাটি বলছে, আগামী দুই বছরের জন্য এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশে শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে।

বিশ্বব্যাংক বুধবার (৯ অক্টোবর) ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রকাশ উপলক্ষে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের কয়েকজন সাংবাদিক যুক্ত হন।

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে প্রতিশ্রুতিশীল, তবে এই অঞ্চলটি তার পূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে। আরও বেশি নারীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। প্রয়োজনে মূল নীতি সংস্কার করতে হবে তাহলে প্রবৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে। আমাদের গবেষণা দেখায় যে এই অঞ্চলে পুরুষদের তুলনায় নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার আঞ্চলিক জিডিপি ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’

বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাজনীতি ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগ ও শিল্পের প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংক বলেছে, তাদের প্রাক্কলন হলো গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছরের ক্ষেত্রেও তার নিম্নমুখী সংশোধন এনেছে। বিশ্বব্যাংকের আগের প্রাক্কলন ছিল, গত অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

সংস্থাটি আরও জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২৩ সালে মাত্র ৩২ শতাংশ কর্মজীবী নারী শ্রমশক্তিতে ছিলেন, যেখানে এই অঞ্চলের ৭৭ শতাংশ কর্মজীবী পুরুষের তুলনায় কম। ভুটান ব্যতীত সমস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ২০২৩ সালে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার একই স্তরের উন্নয়নের দেশগুলির তুলনায় ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পয়েন্ট কম ছিল। নারী শ্রমশক্তিতে এই ঘাটতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিয়ের পর। গড়ে, একবার বিবাহিত, দক্ষিণ এশিয়ার নারী শ্রমশক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ ১২ শতাংশ কমিয়ে দেয়, এমনকি তাদের সন্তান হওয়ার আগেই।