Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১৫

  • চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

চবি প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফয় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল থেকে সোহরাওয়ার্দী মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে আজ ভোরে দুপক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের পক্ষ দুটি হলো বিজয় গ্রুপ ও সিক্সটি নাইন। বিজয় গ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।

পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। বুধবার রাতের এ ঘটনা থেকেই বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুপুর ১টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা রামদা নিয়ে দুই হলের সামনে অবস্থান নেন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষে আহত ১৫ জনের মধ্যে ৭ জনকে সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বর ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, এখানে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এর মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বুধবার রাতের ঘটনা থেকেই আজকের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। বিজয় গ্রুপে জামায়াত-শিবিরের অনুসারীরা প্রবেশ করেছে বলে তারা বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাদের নেতৃত্ব সংকটের কারণেই এই ধরনের সংঘর্ষ হচ্ছে।

বিজয় গ্রুপের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বুধবারের ঘটনার পর আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আজ আমাদের কিছু জুনিয়রকে আবার সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা মারধর করে। পরে আজ আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। আমাদের প্রায় ৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

চবির প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, চবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ মার্চ। ১০ মার্চের মধ্যে এ পরীক্ষা শেষ হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে সংঘর্ষে জড়ানো অছাত্রসুলভ আচরণ। ভর্তি পরীক্ষার আগে এমন পরিস্থিতি শোভনীয় নয়। ভর্তি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

চবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চবি প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফয় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল থেকে সোহরাওয়ার্দী মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে আজ ভোরে দুপক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের পক্ষ দুটি হলো বিজয় গ্রুপ ও সিক্সটি নাইন। বিজয় গ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।

পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। বুধবার রাতের এ ঘটনা থেকেই বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুপুর ১টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা রামদা নিয়ে দুই হলের সামনে অবস্থান নেন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষে আহত ১৫ জনের মধ্যে ৭ জনকে সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বর ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, এখানে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এর মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বুধবার রাতের ঘটনা থেকেই আজকের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। বিজয় গ্রুপে জামায়াত-শিবিরের অনুসারীরা প্রবেশ করেছে বলে তারা বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাদের নেতৃত্ব সংকটের কারণেই এই ধরনের সংঘর্ষ হচ্ছে।

বিজয় গ্রুপের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বুধবারের ঘটনার পর আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আজ আমাদের কিছু জুনিয়রকে আবার সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা মারধর করে। পরে আজ আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। আমাদের প্রায় ৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

চবির প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, চবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ মার্চ। ১০ মার্চের মধ্যে এ পরীক্ষা শেষ হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে সংঘর্ষে জড়ানো অছাত্রসুলভ আচরণ। ভর্তি পরীক্ষার আগে এমন পরিস্থিতি শোভনীয় নয়। ভর্তি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।