Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৩

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সোয়া তিনটার দিকে নগরীর মুরাদপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম।  ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাকি একজনের নাম ফিরোজ, তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তিনজনের মরদেহ চমেক মর্গে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ২টায় রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাইদ নিহত হন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনের নাম আকরাম, অন্যজনের নাম মো. ফারুক। আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আকরামের পুরো নাম ওয়াসিম আকরাম। আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী । তাকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদর এলাকায়।

অন্যদিকে ফারুকের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি নগরীর শোলকবহর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় থাকতেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন সোমবার (১৫ জুলাই) সহিংস রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন শতাধিক আহত হন।

আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারাদেশে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশের সময় : ০৫:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সোয়া তিনটার দিকে নগরীর মুরাদপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম।  ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাকি একজনের নাম ফিরোজ, তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তিনজনের মরদেহ চমেক মর্গে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ২টায় রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাইদ নিহত হন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনের নাম আকরাম, অন্যজনের নাম মো. ফারুক। আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আকরামের পুরো নাম ওয়াসিম আকরাম। আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী । তাকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক উনাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদর এলাকায়।

অন্যদিকে ফারুকের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি নগরীর শোলকবহর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় থাকতেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন সোমবার (১৫ জুলাই) সহিংস রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন শতাধিক আহত হন।

আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারাদেশে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।