Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম দখল করতে এলে আমরা আমলকি খাব না : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দাবি করেছিলাম। এতে মমতা ব্যানার্জি খুব মন খারাপ করেছেন। আসেন কলকাতা-বিহার-উড়িষ্যা দখল করতে। আমরা তো আর ললিপপ খাব না। চট্টগ্রাম দখল করতে এলে আমরা আমলকি খাব না। নাকি আমরা চানুচুর খাব? আমরাও আমাদের শক্তি, আমাদের তেজ দিয়ে দেশকে রক্ষা করব।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা কিনেছি, সেই স্বাধীনতা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব? এই রক্ত আমাদের মাঝে নেই।

তিনি বলেন, আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী তারা মনে রেখ, তোমরা একজন ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছিলে। আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। ওরা (ভারত) বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।

ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও আশপাশের দেশে গণতন্ত্র চায় না জানিয়ে রিজভী বলেন, পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তা দিল্লির কাছে বিকিয়ে দেব না। দিল্লির যারা শাসক তাদের বলছি, লেডি ফেরাউনকে তারা সমর্থন দিয়েছেন। জয় বাংলা স্লোগান বিচারাধীন তবে ব্যক্তিগত অভিমত হলো বাংলা নামে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা আছে, জয় বাংলা বললে তাদের স্লোগান বোঝায়; তাই আমরা পুরো বাংলাদেশ বলতে চাই।

তিনি বলেন, আজকে যারা এখানে অঙ্গীকারাবদ্ধ বক্তব্য রেখেছে, তাদেরকে আমার মনে হয়েছে বর্তমান যুদ্ধে তারা একেকজন সেক্টর কমান্ডার। আমাদের মুন্না সেক্টর কমান্ডার, আমাদের রাজিব সেক্টর কমান্ডার, আমাদের জিলানী সেক্টর কমান্ডার, আমাদের রাকিব সেক্টর কমান্ডার, আমাদের নাসির সেক্টর কমান্ডার। ওদের বক্তব্যের মধ্যে স্বাধীনতার যে অনুচ্ছেদ, সেই অনুচ্ছেদের অঙ্গীকারগুলো রয়েছে। সুতরাং আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী, তারা জেনে রেখ, তোমরা একজন ভয়ংকর রক্তপিপাসু নারী, এক লেডি ফিরাউনকে টেকানোর জন্য তাকে সমর্থন দিয়েছ।

রিজভী বলেন, আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর সমালোচনার পাত্র। তারা চায় মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, ভুটান তাদের কথায় চলুক, বাংলাদেশ তাদের কথায় চলুক। ওরা বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, তাদের যে বীরত্ব, দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার যে ঐতিহ্য, ওরা তা বুঝতে পারেনি।

জয় বাংলা স্লোগন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘জয় বাংলা তো ভারতের একটা অঙ্গ রাজ্যেরও স্লোগন। আমরা কি সেই স্লোগান দেব? আমরা তো বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলব। যে বাংলাদেশ আমার সবুজ-শ্যামল, দোয়েল-কোয়েল-ময়না-শ্যামা, পাকপাখালি, নদী-নালা, খাল-বিলের বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ তো কোনো দেশের অঙ্গরাজ্য বা খণ্ডিতাংশ নয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

চট্টগ্রাম দখল করতে এলে আমরা আমলকি খাব না : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দাবি করেছিলাম। এতে মমতা ব্যানার্জি খুব মন খারাপ করেছেন। আসেন কলকাতা-বিহার-উড়িষ্যা দখল করতে। আমরা তো আর ললিপপ খাব না। চট্টগ্রাম দখল করতে এলে আমরা আমলকি খাব না। নাকি আমরা চানুচুর খাব? আমরাও আমাদের শক্তি, আমাদের তেজ দিয়ে দেশকে রক্ষা করব।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা কিনেছি, সেই স্বাধীনতা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব? এই রক্ত আমাদের মাঝে নেই।

তিনি বলেন, আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী তারা মনে রেখ, তোমরা একজন ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছিলে। আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। ওরা (ভারত) বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।

ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও আশপাশের দেশে গণতন্ত্র চায় না জানিয়ে রিজভী বলেন, পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তা দিল্লির কাছে বিকিয়ে দেব না। দিল্লির যারা শাসক তাদের বলছি, লেডি ফেরাউনকে তারা সমর্থন দিয়েছেন। জয় বাংলা স্লোগান বিচারাধীন তবে ব্যক্তিগত অভিমত হলো বাংলা নামে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা আছে, জয় বাংলা বললে তাদের স্লোগান বোঝায়; তাই আমরা পুরো বাংলাদেশ বলতে চাই।

তিনি বলেন, আজকে যারা এখানে অঙ্গীকারাবদ্ধ বক্তব্য রেখেছে, তাদেরকে আমার মনে হয়েছে বর্তমান যুদ্ধে তারা একেকজন সেক্টর কমান্ডার। আমাদের মুন্না সেক্টর কমান্ডার, আমাদের রাজিব সেক্টর কমান্ডার, আমাদের জিলানী সেক্টর কমান্ডার, আমাদের রাকিব সেক্টর কমান্ডার, আমাদের নাসির সেক্টর কমান্ডার। ওদের বক্তব্যের মধ্যে স্বাধীনতার যে অনুচ্ছেদ, সেই অনুচ্ছেদের অঙ্গীকারগুলো রয়েছে। সুতরাং আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী, তারা জেনে রেখ, তোমরা একজন ভয়ংকর রক্তপিপাসু নারী, এক লেডি ফিরাউনকে টেকানোর জন্য তাকে সমর্থন দিয়েছ।

রিজভী বলেন, আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর সমালোচনার পাত্র। তারা চায় মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, ভুটান তাদের কথায় চলুক, বাংলাদেশ তাদের কথায় চলুক। ওরা বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, তাদের যে বীরত্ব, দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার যে ঐতিহ্য, ওরা তা বুঝতে পারেনি।

জয় বাংলা স্লোগন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘জয় বাংলা তো ভারতের একটা অঙ্গ রাজ্যেরও স্লোগন। আমরা কি সেই স্লোগান দেব? আমরা তো বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলব। যে বাংলাদেশ আমার সবুজ-শ্যামল, দোয়েল-কোয়েল-ময়না-শ্যামা, পাকপাখালি, নদী-নালা, খাল-বিলের বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ তো কোনো দেশের অঙ্গরাজ্য বা খণ্ডিতাংশ নয়।