Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম টেস্টের পর নেতৃত্ব ছাড়তে চান শান্ত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মূলত নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

শান্তর প্রতিভা নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কখনোই সেই প্রতিভার ছাপ রেখে ধারবাহিক হতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও ধারবাহিকতার সঙ্গে কখনো বন্ধুত্ব হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের।

গত কয়েক মাস ধরে ব্যাট হাতে বেশ ভুগছেন শান্ত। তাই নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে নিজের ওপর থেকে নেতৃত্বের চাপ কমাতে চান তিনি। এ কারণেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধন্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন শান্ত।

বিসিবির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “হ্যাঁ, নাজমুল আমাদের জানিয়েছেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর তিনি আর নেতৃত্বে থাকতে আগ্রহী নন।”

নাজমুল নিজেও এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “দেখা যাক কী হয় (বাংলাদেশের অধিনায়কত্বের বিষয়ে) কারণ এখনো বিসিবি সভাপতির (ফারুক আহমেদ) সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ক্রিকবাজ বলছে, বিসিবির বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও সেটাতে রাজী হননি তিনি। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত শান্তর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড। ওমরাহ পালন করে সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে আসলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।

শান্তর নেতৃত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মকর্ত ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘সে আমাদের জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে সে আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।’ আর এ নিয়ে শান্ত বলেন, দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।

সম্প্রতি নাজমুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা উঠে আসছে, বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে। বিসিবির আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি নাজমুল শেষ পর্যন্ত নেতৃত্বে না থাকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তবে বোর্ড মেহেদি হাসানকে টেস্ট এবং ওডিআই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিতে পারে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে তৌহিদ হৃদয়কে বিবেচনা করছে।

নাজমুল নয়টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে তিনটি জয় ও ছয়টি পরাজয় রয়েছে। তার অধিনায়কত্বের বড় সাফল্য ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। তিনি নয়টি ওডিআই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন, যার মধ্যে বাংলাদেশ তিনটি জিতেছে এবং ছয়টি হেরেছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৪টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে ১০টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম টেস্টের পর নেতৃত্ব ছাড়তে চান শান্ত

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মূলত নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

শান্তর প্রতিভা নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কখনোই সেই প্রতিভার ছাপ রেখে ধারবাহিক হতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও ধারবাহিকতার সঙ্গে কখনো বন্ধুত্ব হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের।

গত কয়েক মাস ধরে ব্যাট হাতে বেশ ভুগছেন শান্ত। তাই নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে নিজের ওপর থেকে নেতৃত্বের চাপ কমাতে চান তিনি। এ কারণেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধন্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন শান্ত।

বিসিবির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “হ্যাঁ, নাজমুল আমাদের জানিয়েছেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর তিনি আর নেতৃত্বে থাকতে আগ্রহী নন।”

নাজমুল নিজেও এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “দেখা যাক কী হয় (বাংলাদেশের অধিনায়কত্বের বিষয়ে) কারণ এখনো বিসিবি সভাপতির (ফারুক আহমেদ) সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ক্রিকবাজ বলছে, বিসিবির বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও সেটাতে রাজী হননি তিনি। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত শান্তর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড। ওমরাহ পালন করে সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে আসলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।

শান্তর নেতৃত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মকর্ত ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘সে আমাদের জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে সে আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।’ আর এ নিয়ে শান্ত বলেন, দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।

সম্প্রতি নাজমুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা উঠে আসছে, বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে। বিসিবির আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি নাজমুল শেষ পর্যন্ত নেতৃত্বে না থাকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তবে বোর্ড মেহেদি হাসানকে টেস্ট এবং ওডিআই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিতে পারে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে তৌহিদ হৃদয়কে বিবেচনা করছে।

নাজমুল নয়টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে তিনটি জয় ও ছয়টি পরাজয় রয়েছে। তার অধিনায়কত্বের বড় সাফল্য ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। তিনি নয়টি ওডিআই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন, যার মধ্যে বাংলাদেশ তিনটি জিতেছে এবং ছয়টি হেরেছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৪টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে ১০টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন।