Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে : সারজিস আলম

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, আমরা একটি জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিয়েছি। সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি থাকতে হবে। এ অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। সেই ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ এবং জুলাই বিপ্লব ঘোষণা- এ জন-আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের কথা বলেছি, আপনারা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে এ অভ্যুত্থানকে সফল করেছেন। এ অভ্যুত্থান সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বীকৃতি থাকতে হবে। এ অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানের লিপিবদ্ধ থাকতে হবে, ২০২৪ এ যারা জীবন দিয়েছেন, আমার শহীদ ভাইরা, যারা রক্ত দিয়েছেন, আমাদের আহত যোদ্ধারা তাদের স্বীকৃতি এ ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। যে প্লাটফর্মকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে পুরো বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ওই ঘোষণাপত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকতে হবে।

সারজিস আলম বলেন, যারা ক্ষমতার লোভে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের রক্ত ও জীবনকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না, তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের মানুষ। এ দেশের মানুষের জীবনের দিকে আর যদি কোনো শকুন দৃষ্টি দেয়, তাহলে তার চোখ উপড়ে ফেলব। হোক সে দেশের ভেতরের শক্তি অথবা বাইরের শক্তি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক বলেন, আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাই। ওই শেখ হাসিনা দেশে আসবে, তবে সে দেশে এসে সরাসরি ওই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে, এসে সরাসরি ওই কাঠগড়া থেকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবশ্যই একটি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। তবে তার আগে, এই দেশের যে সিস্টেমগুলোকে হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছেন, সেই সিস্টেমগুলোর সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না, আমরা চোখে চোখ রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করব। পৃথিবীর যেকোনো পরাশক্তি যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা করে তারা বাংলাদেশকে ডমিনেট করে কোনো পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করবে, আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি ছুঁড়ে ফেলে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, নাবিলা তানিয়া, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফারহান হাসান বর্ণ, সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলার নেতা আবরার নাদিম ইতু, সোহেল রানা প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে : সারজিস আলম

প্রকাশের সময় : ১১:১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, আমরা একটি জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিয়েছি। সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি থাকতে হবে। এ অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। সেই ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ এবং জুলাই বিপ্লব ঘোষণা- এ জন-আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের কথা বলেছি, আপনারা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে এ অভ্যুত্থানকে সফল করেছেন। এ অভ্যুত্থান সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বীকৃতি থাকতে হবে। এ অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানের লিপিবদ্ধ থাকতে হবে, ২০২৪ এ যারা জীবন দিয়েছেন, আমার শহীদ ভাইরা, যারা রক্ত দিয়েছেন, আমাদের আহত যোদ্ধারা তাদের স্বীকৃতি এ ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। যে প্লাটফর্মকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে পুরো বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ওই ঘোষণাপত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকতে হবে।

সারজিস আলম বলেন, যারা ক্ষমতার লোভে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের রক্ত ও জীবনকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না, তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের মানুষ। এ দেশের মানুষের জীবনের দিকে আর যদি কোনো শকুন দৃষ্টি দেয়, তাহলে তার চোখ উপড়ে ফেলব। হোক সে দেশের ভেতরের শক্তি অথবা বাইরের শক্তি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক বলেন, আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাই। ওই শেখ হাসিনা দেশে আসবে, তবে সে দেশে এসে সরাসরি ওই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে, এসে সরাসরি ওই কাঠগড়া থেকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবশ্যই একটি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে। তবে তার আগে, এই দেশের যে সিস্টেমগুলোকে হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছেন, সেই সিস্টেমগুলোর সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না, আমরা চোখে চোখ রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করব। পৃথিবীর যেকোনো পরাশক্তি যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা করে তারা বাংলাদেশকে ডমিনেট করে কোনো পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করবে, আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি ছুঁড়ে ফেলে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, নাবিলা তানিয়া, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফারহান হাসান বর্ণ, সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলার নেতা আবরার নাদিম ইতু, সোহেল রানা প্রমুখ।