Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মাত্র কদিন হয়েছে দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঝড়টির প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অনেক অঞ্চল। সেই সুযোগেই বাজারে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। হাত দেওয়া যাচ্ছে না সবজির বাজারেও। ক্রেতারা বলছেন— কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারের চিত্র অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে বাজারগুলোতে দেখা গেছে, কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা; কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি, সোনালি ৩৫০-৩৬০, দেশি মুরগি আগের মতোই ৭০০ টাকা কেজি।

বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া এক হালি কিনলে দিতে হচ্ছে ৬০ টাকা। সাদা ডিমের ডজন ১৪০ টাকা ও এক হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

উৎপাদন বাড়ায় চলতি সপ্তাহে ইলিশ মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেটা গত সপ্তাহেও ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৪০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইককা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে-৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮৫ টাকা।

এদিকে বাজারগুলোতে ছোটদানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, মোটা মসুরের ডাল ১১০, মুগ ডাল ১৬০-১৮০, খেসারি ডাল ১২০, মাষকলাই ২০০ টাকা কেজিতে। বুটের ডালের কেজি ১১৫ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৪৭, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫, খোলা চিনি ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ৩২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা, গোলমরিচ ৮৮০ থেকে ৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ মানভেদে ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, আলুবোখারা ৯৯০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা ও ধনিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তাদের দাবি, কোরবানি ঈদের তো আরও বাকি, এর মধ্যেই ব্যবসায়ীরা মসলার দাম দাম বাড়িয়ে ফেলেছেন, যা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের।

আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার ফলে আমদানি কমায় মসলার দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারগুলোতে। ফলে দাম বাড়ছে খুচরা বাজারেও। আমদানি না বাড়লে ঈদে দাম আরও বাড়তে পারে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রাকিব জানান, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পর্যায়ে খরচ বেড়ে গেছে। যে কারণে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি অমর কান্তি দাশ বলেন, দেশের জিরা ও এলাচের বাজার ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারতেই বর্তমানে এসব পণ্যের সংকট চলছে। তার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মাত্র কদিন হয়েছে দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঝড়টির প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অনেক অঞ্চল। সেই সুযোগেই বাজারে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। হাত দেওয়া যাচ্ছে না সবজির বাজারেও। ক্রেতারা বলছেন— কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারের চিত্র অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে বাজারগুলোতে দেখা গেছে, কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা; কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি, সোনালি ৩৫০-৩৬০, দেশি মুরগি আগের মতোই ৭০০ টাকা কেজি।

বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া এক হালি কিনলে দিতে হচ্ছে ৬০ টাকা। সাদা ডিমের ডজন ১৪০ টাকা ও এক হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

উৎপাদন বাড়ায় চলতি সপ্তাহে ইলিশ মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেটা গত সপ্তাহেও ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৪০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইককা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে-৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮৫ টাকা।

এদিকে বাজারগুলোতে ছোটদানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, মোটা মসুরের ডাল ১১০, মুগ ডাল ১৬০-১৮০, খেসারি ডাল ১২০, মাষকলাই ২০০ টাকা কেজিতে। বুটের ডালের কেজি ১১৫ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৪৭, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫, খোলা চিনি ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ৩২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা, গোলমরিচ ৮৮০ থেকে ৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ মানভেদে ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, আলুবোখারা ৯৯০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা ও ধনিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তাদের দাবি, কোরবানি ঈদের তো আরও বাকি, এর মধ্যেই ব্যবসায়ীরা মসলার দাম দাম বাড়িয়ে ফেলেছেন, যা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের।

আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার ফলে আমদানি কমায় মসলার দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারগুলোতে। ফলে দাম বাড়ছে খুচরা বাজারেও। আমদানি না বাড়লে ঈদে দাম আরও বাড়তে পারে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রাকিব জানান, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পর্যায়ে খরচ বেড়ে গেছে। যে কারণে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি অমর কান্তি দাশ বলেন, দেশের জিরা ও এলাচের বাজার ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারতেই বর্তমানে এসব পণ্যের সংকট চলছে। তার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও।