ফ্রান্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ করসিকার আকাশে চক্কর খাচ্ছে, অবতরণের জন্য সেটি অনুমতির অপেক্ষায়। বারবার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন পাইলট, কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া নেই। বিমানবন্দরের একমাত্র এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার যে তখন বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন! তাঁকে ঘুম থেকে তুলতে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী ও পুলিশ পর্যন্ত ডাকতে হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে। রাজধানী প্যারিস থেকে উড়াল দেওয়া এয়ার করসিকার ‘এয়ারবাস এ৩২০’ যাচ্ছিল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরটি করসিকা দ্বীপের রাজধানী আজাক্সিওতে।
স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকাকে পাইলট বলেন, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা টাওয়ার থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশ ডাকেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দশকের পেশাজীবনে আমি কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়িনি। আমাদের যাত্রা খুব সংক্ষিপ্ত ছিল। তাই সেখানে আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। সবাই শান্ত ছিলেন। যাত্রীরা এটিকে মজার ঘটনা হিসেবে নিয়েছিলেন।’
শেষ পর্যন্ত গ্রাউন্ড স্টাফরা যখন কন্ট্রোল টাওয়ারে পৌঁছান, দেখেন কন্ট্রোলার তাঁর ডেস্কে ঘুমাচ্ছেন। তাঁরা তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন। জেগে ওঠা কন্ট্রোলার এরপর বিমানবন্দরে রানওয়ের বাতি জ্বালিয়ে দেন এবং উড়োজাহাজটিকে অবতরণের অনুমতি দেন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন, কোনো অসুবিধা ছাড়াই উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে।
কী কারণে ট্রাফিক কন্ট্রোলার বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন, তা খুঁজে বের করতে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এর আগে ফ্রান্সের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা কাজের পরিবেশ ও মজুরি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রচণ্ড চাপে তাঁরা মানসিক অবসাদে ভোগেন ও ভীষণ ক্লান্ত থাকেন।