Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী পলাতক

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুরের শ্রীপুরে তিন তলা ভবনের নিচতলা থেকে তাসলিমা আকতার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী আল আমিন (৩৪) পলাতক রয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসলিমা আকতার নেত্রকোনা জেলার সদর থানার পাটালি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছয় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে মো. আল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাসলিমার। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী এক ছেলে আছে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চার-পাঁচ মাস আগে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে দুজনই স্থানীয় কারখানায় কাজ করতেন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে তাসলিমার অসুস্থতার খবরে নিহতের স্বজন ও বাড়ির লোকজন গিয়ে ফ্লাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে কক্ষে প্রবেশ করে বালিশে চাপা দেয়া অবস্থায় তাসলিমার রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বাড়ির মালিকের মেয়ে সুমাইয়ার আকতার রিমা জানান, বুধবার (১২ এপ্রিল) সেহরি খাওয়ার পর নিহতের স্বামী আল আমিন তার ভাই মেহেদী হাসান রিমনকে মোবাইল ফোনে তাসলিমার অসুস্থতার কথা জানিয়ে খোঁজ নিতে বলে। রিমন উত্তরা থাকায় বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে নিচ তলার ফ্ল্যাটে এসে বাহির থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান তারা। পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বালিশে চাপা দেয়া অবস্থায় মুখে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। এসময় বিষয়টি পাশের রুমে ভাড়াটিয়াসহ কয়েকজনকে জানানো হয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিহতের তাসলিমার মামাতো ভাই মো. রাসেল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তাসলিমার স্বামী নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক বলে পরিচয় দিতেন। তবে আমরা কখনও বিষয়টির সত্যতা পাইনি। তাসলিমার সঙ্গে তার স্বামীর নানা বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। গত রোববার তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে আমরা পারিবারিকভাবে তা মীমাংসা করে দেই।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটকের জন্য অভিযান চলছে, তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঘরে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী পলাতক

প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুরের শ্রীপুরে তিন তলা ভবনের নিচতলা থেকে তাসলিমা আকতার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী আল আমিন (৩৪) পলাতক রয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসলিমা আকতার নেত্রকোনা জেলার সদর থানার পাটালি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছয় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে মো. আল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাসলিমার। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী এক ছেলে আছে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চার-পাঁচ মাস আগে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে দুজনই স্থানীয় কারখানায় কাজ করতেন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে তাসলিমার অসুস্থতার খবরে নিহতের স্বজন ও বাড়ির লোকজন গিয়ে ফ্লাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে কক্ষে প্রবেশ করে বালিশে চাপা দেয়া অবস্থায় তাসলিমার রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বাড়ির মালিকের মেয়ে সুমাইয়ার আকতার রিমা জানান, বুধবার (১২ এপ্রিল) সেহরি খাওয়ার পর নিহতের স্বামী আল আমিন তার ভাই মেহেদী হাসান রিমনকে মোবাইল ফোনে তাসলিমার অসুস্থতার কথা জানিয়ে খোঁজ নিতে বলে। রিমন উত্তরা থাকায় বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে নিচ তলার ফ্ল্যাটে এসে বাহির থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান তারা। পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বালিশে চাপা দেয়া অবস্থায় মুখে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। এসময় বিষয়টি পাশের রুমে ভাড়াটিয়াসহ কয়েকজনকে জানানো হয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিহতের তাসলিমার মামাতো ভাই মো. রাসেল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তাসলিমার স্বামী নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক বলে পরিচয় দিতেন। তবে আমরা কখনও বিষয়টির সত্যতা পাইনি। তাসলিমার সঙ্গে তার স্বামীর নানা বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। গত রোববার তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে আমরা পারিবারিকভাবে তা মীমাংসা করে দেই।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটকের জন্য অভিযান চলছে, তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।