Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরমুখো মানুষের কাছে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা : ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছে থেকে টিকিটের জন্য বাড়তি ভাড়া আদায় করলে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ার দেন।

ঈদে প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুনিবুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন যে, প্রতিটি বাস টার্মিনালে সার্ভিলেন্স টিম আছে। সার্ভিলেন্স টিম কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে হয়। সেখানে পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিএ এর প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকে। ভাড়ার চার্ট অনুযায়ী তা আদায় হচ্ছে কি না, ভাড়া দুই থেকে তিন গুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে কি না অথবা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না এগুলো দেখভালের দায়িত্ব সার্ভিলেন্স টিমের।

মুনিবুর রহমান আরও বলেন, ঈদের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকে। অযাচিতভাবে ভাড়া আদায় করা হয় এমন কোনো অভিযোগ আসলে সেখানে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যদি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয় তবে সার্ভিলেন্স টিম আছে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কোনো পরিবহন ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব।

লোকাল বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ঈদের সময় ঢাকার বাইরে যায় এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় তাদের আটকানো যায় না। কিন্তু আটকানো না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ভিডিও মামলা হবে। পরে যেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়্ যায়। আমরা যদি তাদের রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি শনাক্ত করতে পারি আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, ঈদে ছুটি শুরুর আগে বিশেষ করে এক থেকে দুই দিন আগে সড়কে চাপ বাড়ে। তখন অধিকাংশ শ্রমিকরা ঢাকা ছাড়ে। তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি থাকেন পোশাক শ্রমিকরা। তারাও ঈদের এক থেকে দুই দিন আগে বাড়িতে যেতে চাই। আর ঈদ যাত্রার ট্রিপ নিয়ে যেসব গাড়ি ঢাকা ছেড়ে যায় তারা আবার সঠিক সময়ে ফিরে আসতে পারে না। আর এই সুযোগটা গ্রহণ করে লোকাল বাসগুলো। শ্রমিকরা অনেকটা জোরজবরদস্তি করে এসব লোকাল বাসে করে গ্রামে যায়। আগাম যাত্রীরা যখন চলে যেতে পারে না তখন এই গ্যাপটা পূরণ করার জন্য ঢাকার লোকাল বাসগুলো বাইরে যায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ঘরমুখো মানুষের কাছে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা : ডিএমপি

প্রকাশের সময় : ০২:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছে থেকে টিকিটের জন্য বাড়তি ভাড়া আদায় করলে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ার দেন।

ঈদে প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুনিবুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন যে, প্রতিটি বাস টার্মিনালে সার্ভিলেন্স টিম আছে। সার্ভিলেন্স টিম কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে হয়। সেখানে পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিএ এর প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকে। ভাড়ার চার্ট অনুযায়ী তা আদায় হচ্ছে কি না, ভাড়া দুই থেকে তিন গুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে কি না অথবা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না এগুলো দেখভালের দায়িত্ব সার্ভিলেন্স টিমের।

মুনিবুর রহমান আরও বলেন, ঈদের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকে। অযাচিতভাবে ভাড়া আদায় করা হয় এমন কোনো অভিযোগ আসলে সেখানে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যদি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয় তবে সার্ভিলেন্স টিম আছে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কোনো পরিবহন ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব।

লোকাল বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ঈদের সময় ঢাকার বাইরে যায় এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় তাদের আটকানো যায় না। কিন্তু আটকানো না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ভিডিও মামলা হবে। পরে যেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়্ যায়। আমরা যদি তাদের রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি শনাক্ত করতে পারি আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, ঈদে ছুটি শুরুর আগে বিশেষ করে এক থেকে দুই দিন আগে সড়কে চাপ বাড়ে। তখন অধিকাংশ শ্রমিকরা ঢাকা ছাড়ে। তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি থাকেন পোশাক শ্রমিকরা। তারাও ঈদের এক থেকে দুই দিন আগে বাড়িতে যেতে চাই। আর ঈদ যাত্রার ট্রিপ নিয়ে যেসব গাড়ি ঢাকা ছেড়ে যায় তারা আবার সঠিক সময়ে ফিরে আসতে পারে না। আর এই সুযোগটা গ্রহণ করে লোকাল বাসগুলো। শ্রমিকরা অনেকটা জোরজবরদস্তি করে এসব লোকাল বাসে করে গ্রামে যায়। আগাম যাত্রীরা যখন চলে যেতে পারে না তখন এই গ্যাপটা পূরণ করার জন্য ঢাকার লোকাল বাসগুলো বাইরে যায়।