Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রামের মানুষ সুখে আছে, হাহাকার নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গ্রামের মানুষ সুখে আছে, হাহাকার নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের এমন কোনো শ্রেণি নেই, যাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেনি সরকার।

বুধবার (১৯ জুলাই) গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমাজের সব দিকে লক্ষ্য রেখে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এখন মোটামুটিভাবে এমন জায়গায় আছি, অর্থনৈতিক চাপটা আছে, ডলারের ক্রাইসিস- এটা তো সারা বিশ্বব্যাপী, আমাদের ওপরও আছে। তারপরও আমি বলব, আমাদের অর্থনীতি গতিশীল আছে। এবারও আমরা সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি।

দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের চালের অভাব নাই। আমাদের চাল এবং অন্যান্য ফসল প্রচুর পরিমাণে আছে। আজকে আমাকে খাদ্যমন্ত্রী বলেছে, আমাদের তো চাল রাখার জায়গা নেই। এখন জায়গা খালি করি কীভাবে।

নতুন করে মজুত করতে জায়গা খালি করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাদেরকে আমরা রেশন দেই, যেমন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, তাদের যাদের যাদের রাখার ব্যবস্থা আছে তাদের আমরা একবারে তিন মাসেরটা দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, ভিজিডি, ভিজিএফ মাসে মাসে দেই সেটাও দরকার হয় তিন মাসের দিয়ে সেখানে আমরা জায়গা করব এবং সেখানে নতুন করে আবার খাদ্য মজুত করব। যাতে ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগে সমস্যা না হয়।

গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাই। আজকেও আমি খবর নিলাম বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন, জিজ্ঞেস করলাম কী অবস্থা, বলে এখানে দাম বেশি, আমাদের ওখানে সব ঠিক আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি সেটাও কার্যকর করতে হবে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে। সে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালো আছে। এখন বর্ষাকালেও শীতকালের সবজি দেখেন। সবই পাওয়া যায়। আবার সেটা দাম বেশি হলে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচিও করে। কিন্তু আগে তো এগুলো পাওয়াই যেত না। এখন সবই পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ২০০৮ এ আমরা ঘোষণা দিয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন আমরা ঘোষণা দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ করব।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু, এই একটা সিদ্ধান্ত, এখন সবাই বাংলাদেশকে সমীহ করে। পদ্মা সেতুতে দক্ষিণের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চাপ সত্বেও দেশের অর্থনীতি এখনও বেশ গতিশীল রয়েছে। আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালোই আছে। গণভবনও একটা ফার্মহাউজের মতো হয়ে গেছে। কাঁচা মরিচ, হলুদ, আদা, ধান, লেকের মাছ, সরিষা, চাল, হাঁস-মুরগি, গরু, ২৬টা ছাগল আছে বাচ্চাকাচ্চাসহ। শাকসবজি, ফলমূল, গবাদিপশু সবকিছুতে গণভবন স্বয়ংসস্পূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষও এখন শহরের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে সব সুবিধা পাচ্ছে। গ্রামের নারী-পুরুষ সমানতালে কাজ করছে। কুটিরশিল্প থেকে শুরু করে চাষাবাদ ও বিভিন্ন পশুপালনেও গ্রাম স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। খাম্বা দিয়েছিল, আর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপির পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। ২০০১-০৮ পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ খাতের কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ গেলো সাড়ে ১৪ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে।এখন সর্বোচ্চ পিক আওয়ারে দেশে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করেছি আমরা।

দেশ খাদ্যে পরিপূর্ণ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যমন্ত্রী আজ আমাকে জানিয়েছেন, সরকারি গুদামে চাল রাখার জায়গা নেই। তাই জায়গা খালি করা প্রয়োজন। মাসে মাসে যারা চাল পান, ভিজিএফের মতো যারা পায়, তাদের একযোগে তিন মাসের চাল দেয়ার মাধ্যমে গুদামে জায়গা ফাঁকা করা হবে।

নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে বসতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নিজের দলের সঙ্গেই ইদানিং বসার সময় পাই না। এমন একটি সময়েই আপনাদের সঙ্গে বসা। আপনারাও রাজনীতি করেন, দেশের অগ্রগতির জন্য আপনাদের চিন্তাও শুনতে চাই; যাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গ্রামের মানুষ সুখে আছে, হাহাকার নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গ্রামের মানুষ সুখে আছে, হাহাকার নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের এমন কোনো শ্রেণি নেই, যাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেনি সরকার।

বুধবার (১৯ জুলাই) গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমাজের সব দিকে লক্ষ্য রেখে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এখন মোটামুটিভাবে এমন জায়গায় আছি, অর্থনৈতিক চাপটা আছে, ডলারের ক্রাইসিস- এটা তো সারা বিশ্বব্যাপী, আমাদের ওপরও আছে। তারপরও আমি বলব, আমাদের অর্থনীতি গতিশীল আছে। এবারও আমরা সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি।

দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের চালের অভাব নাই। আমাদের চাল এবং অন্যান্য ফসল প্রচুর পরিমাণে আছে। আজকে আমাকে খাদ্যমন্ত্রী বলেছে, আমাদের তো চাল রাখার জায়গা নেই। এখন জায়গা খালি করি কীভাবে।

নতুন করে মজুত করতে জায়গা খালি করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাদেরকে আমরা রেশন দেই, যেমন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, তাদের যাদের যাদের রাখার ব্যবস্থা আছে তাদের আমরা একবারে তিন মাসেরটা দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, ভিজিডি, ভিজিএফ মাসে মাসে দেই সেটাও দরকার হয় তিন মাসের দিয়ে সেখানে আমরা জায়গা করব এবং সেখানে নতুন করে আবার খাদ্য মজুত করব। যাতে ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগে সমস্যা না হয়।

গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে যাননি। গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাই। আজকেও আমি খবর নিলাম বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন, জিজ্ঞেস করলাম কী অবস্থা, বলে এখানে দাম বেশি, আমাদের ওখানে সব ঠিক আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি সেটাও কার্যকর করতে হবে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে। সে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালো আছে। এখন বর্ষাকালেও শীতকালের সবজি দেখেন। সবই পাওয়া যায়। আবার সেটা দাম বেশি হলে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচিও করে। কিন্তু আগে তো এগুলো পাওয়াই যেত না। এখন সবই পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ২০০৮ এ আমরা ঘোষণা দিয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন আমরা ঘোষণা দিয়েছি স্মার্ট বাংলাদেশ করব।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু, এই একটা সিদ্ধান্ত, এখন সবাই বাংলাদেশকে সমীহ করে। পদ্মা সেতুতে দক্ষিণের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চাপ সত্বেও দেশের অর্থনীতি এখনও বেশ গতিশীল রয়েছে। আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালোই আছে। গণভবনও একটা ফার্মহাউজের মতো হয়ে গেছে। কাঁচা মরিচ, হলুদ, আদা, ধান, লেকের মাছ, সরিষা, চাল, হাঁস-মুরগি, গরু, ২৬টা ছাগল আছে বাচ্চাকাচ্চাসহ। শাকসবজি, ফলমূল, গবাদিপশু সবকিছুতে গণভবন স্বয়ংসস্পূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষও এখন শহরের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে সব সুবিধা পাচ্ছে। গ্রামের নারী-পুরুষ সমানতালে কাজ করছে। কুটিরশিল্প থেকে শুরু করে চাষাবাদ ও বিভিন্ন পশুপালনেও গ্রাম স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। খাম্বা দিয়েছিল, আর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপির পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। ২০০১-০৮ পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ খাতের কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ গেলো সাড়ে ১৪ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে।এখন সর্বোচ্চ পিক আওয়ারে দেশে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করেছি আমরা।

দেশ খাদ্যে পরিপূর্ণ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যমন্ত্রী আজ আমাকে জানিয়েছেন, সরকারি গুদামে চাল রাখার জায়গা নেই। তাই জায়গা খালি করা প্রয়োজন। মাসে মাসে যারা চাল পান, ভিজিএফের মতো যারা পায়, তাদের একযোগে তিন মাসের চাল দেয়ার মাধ্যমে গুদামে জায়গা ফাঁকা করা হবে।

নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে বসতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নিজের দলের সঙ্গেই ইদানিং বসার সময় পাই না। এমন একটি সময়েই আপনাদের সঙ্গে বসা। আপনারাও রাজনীতি করেন, দেশের অগ্রগতির জন্য আপনাদের চিন্তাও শুনতে চাই; যাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।