নিজস্ব প্রতিবেদক :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের শৌলঘাই বিলে একটি সেতুর জন্য দুই গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে যায়। এ সেতুটি হলে টিকুরী, গোবিন্দপুর, ডেকুরা, সূর্যাকোনা, বড়কালিহরসহ ১১টি গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের দূরত্ব কমে আসবে।
টিকুরী গ্রামে অবস্থিত হরমুজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকুরী গ্রামে। বর্ষা মৌসুমে তাদের স্কুলে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
হরমুজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৫ জন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের ম্যাপভুক্ত টিকুরী গ্রামের ছাত্রছাত্রী ১৭৪ জন। প্রাক-প্রাথমিক শাখার ১৩ জন শিক্ষার্থী এখনই আসতে পারছে না। বর্ষাকাল শুরু হলে সিংহভাগ শিক্ষার্থীর স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যায়।
টিকুরী গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির রুমন মিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার স্কুলে আসার পথে সেতুটি পড়ে যায়। তার ড্রেস, স্কুলব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণও ভিজে যায়।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সিয়াম মিয়া জানায়, বাঁশের ও সুপারিগাছ দিয়ে যে সেতু বানানো হয়েছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পানি বাড়লেই বন্ধ হয়ে যায় তাদের স্কুলে আসা।
মইলাকান্দা ইউপি সদস্য নয়ন মিয়া জানান, টিকুরী গ্রামে রয়েছে মহিলা মাদরাসাসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এখানে সেতু না হওয়ায় তাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
মইলাকান্দা ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সোহেল রানা পাপ্পু জানান, এই মুহূর্তে বরাদ্দ নেই। জনস্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে স্বাভাবিক চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগের অধীনে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।