Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গেটম্যান ঘুমিয়ে জয়পুরহাটে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে নিহত ১১

সংগৃহীত ছবি

আবার ঘটলো ট্রেন দুর্ঘটনা। গেটম্যান ছিলেন ঘুমিয়ে। গেট ছিল খোলা। ট্রেন এলো। ধাক্কা দিল বাসকে। শুধু ধাক্কা নয়, ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে আটকে গিয়ে বাসটি ঠেলে হিঁচড়ে নিয়ে গেল বেশ কিছুদূর। দুমড়ে মুছড়ে গেল বাসটি। ট্রেন যখন দাঁড়ালো ততক্ষণে সব শেষ।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকালে জয়পুরহাটে। এখানে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের সবাই বাসের যাত্রী। দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ক্রসিংটির গেট খোলা ছিল ও সংশ্লিষ্ট গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সদরের পুরানাপৈল রেলগেটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ১১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : ঢাকা-সিলেট রুটে নতুন কোচে জয়ন্তিকা ও উপবন 

বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাজশাহীতে যাচ্ছিল। অপরদিকে পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা বাসটি জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে উঠে পড়ে।

এতে ট্রেনটি ওই বাসকে ধাক্কা দেয়। ফলে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন পাঁচজন। এলাকাবাসীর সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, দুর্ঘটনার আগে রেলক্রসিংটির গেট খোলা ছিল। গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন। তাৎক্ষণিক হতাহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গেটম্যান ঘুমিয়ে জয়পুরহাটে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

আবার ঘটলো ট্রেন দুর্ঘটনা। গেটম্যান ছিলেন ঘুমিয়ে। গেট ছিল খোলা। ট্রেন এলো। ধাক্কা দিল বাসকে। শুধু ধাক্কা নয়, ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে আটকে গিয়ে বাসটি ঠেলে হিঁচড়ে নিয়ে গেল বেশ কিছুদূর। দুমড়ে মুছড়ে গেল বাসটি। ট্রেন যখন দাঁড়ালো ততক্ষণে সব শেষ।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকালে জয়পুরহাটে। এখানে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের সবাই বাসের যাত্রী। দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ক্রসিংটির গেট খোলা ছিল ও সংশ্লিষ্ট গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সদরের পুরানাপৈল রেলগেটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ১১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : ঢাকা-সিলেট রুটে নতুন কোচে জয়ন্তিকা ও উপবন 

বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাজশাহীতে যাচ্ছিল। অপরদিকে পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা বাসটি জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে উঠে পড়ে।

এতে ট্রেনটি ওই বাসকে ধাক্কা দেয়। ফলে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন পাঁচজন। এলাকাবাসীর সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, দুর্ঘটনার আগে রেলক্রসিংটির গেট খোলা ছিল। গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন। তাৎক্ষণিক হতাহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।