Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে সব শিল্প কারখানা খোলা রাখার আহ্বান জাহাঙ্গীরের

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে গাজীপুরের সকল শিল্প কারখানা খোলা রাখার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রো চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ৪৩ টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ আহ্বান জানান তিনি।

এসময় তিনি বলেন, গার্মেন্টসের মালিকেরা অভিভাবক এবং শ্রমিকরা তাদের অংশীদার। আমরা অনুরোধ করব, শ্রমিকদের নামে কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের রাস্তাঘাটে ভাঙচুর, শিল্প কারখানার, বাড়িঘরের ক্ষতি করতে না পারে। পুলিশ প্রশাসন যেন সার্বিকভাবে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ভাইদের বলতে চাই, অনেক দিন কষ্ট করেছেন, আরও একটু অপেক্ষা করুন। আপনাদের দাবি পূরণে সরকারকে অনুরোধ করব, দ্রুত যেন এর সমাধান করা হয় এবং শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়।

শ্রমিক আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বিবেচনা করে মালিক-শ্রমিক উভয়ের স্বার্থ দেখতে হবে।

এ উপলক্ষে গাছা এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর-কোনাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে যে আন্দোলন শুরু করেছে তা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানা গুলোতে ছড়িয়ে পরেছে যা অনাকাঙ্খিত। শ্রমিক সংগঠন সমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে বোর্ডের কাছে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবি করেছেন।

এ নিয়ে বোর্ডে আলাপ আলোচনা চলছে। আগামী ১লা নভেম্বর মজুরি বোর্ডের ৫ম সভা অনুষ্ঠিত হবে। মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে ৩০নভেম্বর মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য মজুরি ঘোষণা করবেন। এসময়ে শ্রমিকরা কারখানার কাজ বন্ধ রেখে অঘোষিত আন্দোলন এবং ভাঙচুর করলে মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যোক্তিক। তবে আন্দোলনের নামে ভাংচুর ও নাশকতা করা যোক্তিক আন্দোলনকে বিপথে চালিত করে।

এ ব্যাপারে শ্রমিক ভাই ও বোনেরা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং কোনো বহিরাগত শক্তি যেন এর পিছনে ইন্দন যোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষই মজুরি প্রস্তাবনা দিয়েছে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি সেহেতু আমরা আশা করি বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি সম্মান জনক মজুরি ঘোষণার মধ্যদিয়ে শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত দাবির ন্যায্যতা পাবে।

এদিকে পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে মঙ্গলবারও সাভারের আশুলিয়ায় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা টঙ্গী-বাইপাইল সড়কে নেমে আসলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

গাজীপুরে সব শিল্প কারখানা খোলা রাখার আহ্বান জাহাঙ্গীরের

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে গাজীপুরের সকল শিল্প কারখানা খোলা রাখার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রো চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ৪৩ টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ আহ্বান জানান তিনি।

এসময় তিনি বলেন, গার্মেন্টসের মালিকেরা অভিভাবক এবং শ্রমিকরা তাদের অংশীদার। আমরা অনুরোধ করব, শ্রমিকদের নামে কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের রাস্তাঘাটে ভাঙচুর, শিল্প কারখানার, বাড়িঘরের ক্ষতি করতে না পারে। পুলিশ প্রশাসন যেন সার্বিকভাবে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ভাইদের বলতে চাই, অনেক দিন কষ্ট করেছেন, আরও একটু অপেক্ষা করুন। আপনাদের দাবি পূরণে সরকারকে অনুরোধ করব, দ্রুত যেন এর সমাধান করা হয় এবং শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়।

শ্রমিক আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বিবেচনা করে মালিক-শ্রমিক উভয়ের স্বার্থ দেখতে হবে।

এ উপলক্ষে গাছা এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর-কোনাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে যে আন্দোলন শুরু করেছে তা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানা গুলোতে ছড়িয়ে পরেছে যা অনাকাঙ্খিত। শ্রমিক সংগঠন সমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে বোর্ডের কাছে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবি করেছেন।

এ নিয়ে বোর্ডে আলাপ আলোচনা চলছে। আগামী ১লা নভেম্বর মজুরি বোর্ডের ৫ম সভা অনুষ্ঠিত হবে। মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে ৩০নভেম্বর মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য মজুরি ঘোষণা করবেন। এসময়ে শ্রমিকরা কারখানার কাজ বন্ধ রেখে অঘোষিত আন্দোলন এবং ভাঙচুর করলে মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যোক্তিক। তবে আন্দোলনের নামে ভাংচুর ও নাশকতা করা যোক্তিক আন্দোলনকে বিপথে চালিত করে।

এ ব্যাপারে শ্রমিক ভাই ও বোনেরা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং কোনো বহিরাগত শক্তি যেন এর পিছনে ইন্দন যোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষই মজুরি প্রস্তাবনা দিয়েছে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি সেহেতু আমরা আশা করি বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি সম্মান জনক মজুরি ঘোষণার মধ্যদিয়ে শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত দাবির ন্যায্যতা পাবে।

এদিকে পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে মঙ্গলবারও সাভারের আশুলিয়ায় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা টঙ্গী-বাইপাইল সড়কে নেমে আসলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন।