আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত বহু।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াফা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে আল-সাবরাহ এলাকার একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আল-সাবরাহ এলাকার মসজিদে বিমান হামলার পাশাপাশি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ারেও হামলা করে ইসরায়েল বাহিনী। এ ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
গাজায় আগ্রাসন চালানোর পাশাপাশি এখন নতুন করে মানবিক অত্যাচার শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবিক প্রয়োজনে যুদ্ধ বিরতি দিয়ে মানবিক প্যাসেজ তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিওর হাইয়াত স্পষ্ট বলেছেন, গাজায় নতুন কোনো করিডোর বা প্যাসেজ তৈরির করার সব কারণ বন্ধ হয়ে গেছে। ২৩৯ যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত লড়াই থামবে না।
এ ছাড়া আরও কিছু দাবি করেছে ‘অবৈধ রাষ্ট্র’ ইসরায়েল। জাতিসংঘকে দেশটি বলেছে, জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে হামাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হবে। গাজার নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করতে হবে।
চলমান সংঘাতের সূত্রপাত গত ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। পাশাপাশি চলছে একের পর এক হামলা। ইসরায়েলি বোমার আঘাত থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, শরণার্থীশিবির কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ১১ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার হাজার ৭১০ জন শিশু এবং তিন হাজার ১৬০ জন নারী রয়েছেন। তাছাড়া ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।