আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

গাজা উপত্যকায় ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) কমান্ডার ও আরও দুইজন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের কাছে হামাদ আবাসিক শহরে সু-উচ্চ ভবনের পঞ্চম তলায় এক অ্যাপার্ন্টমেন্টে যুদ্ধবিমান আঘাত হানে। এর আগে পিআইজের যোদ্ধারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৪৬০টি বেশি রকেট ছুড়ে। জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় ১৩০টিরও বেশি ‘জঙ্গি’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।

আল জাজিরার ইয়ামনা আল সাইয়েদ গাজা সিটি থেকে জানান, প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। দোকানপাট, স্কুল, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা- সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। লোকজন খুব কমই ঘরের বাইরে যাচ্ছে।

গাজাভিত্তিক লেখক রানা শুবাইর বলেন, ইসরাইলি হামলায় সবাই অবাক হয়ে গেছে। সবাই ঘুমিয়ে ছিল। তখনই হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার গাজা থেকে চার শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারা জানায়, বেশির ভাগ রকেটই উন্মুক্ত এলাকায় ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এক তৃতীয়াংশ ভুলপথে গিয়ে গাজার ভেতরেই পতিত হয়েছে।

এর জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পিআইজের ১৩০টি বেশি স্থাপনায় হামলা চালায়। গত ৯ মাসের মধ্যে এটি ভয়াবহ লড়াই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজায় পিআইজের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন পিআইজে কমান্ডার আছেন এবং অন্তত ১০ জন বেসামরিক লোক।

তবে ইসরায়েলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, যদিও কিছু রকেট কিছু বাড়ি ও ভবনে আঘাত হানে। বেশিরভাগ রকেটই প্রতিহত করা হয়েছে।

পিআইজে নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মিসাইল ইউনিটের কমান্ডার আলি হাসান ঘালি হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি আবু মুহাম্মদ নামেও পরিচিত। গাজায় হামাসের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী হচ্ছে পিআইজে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা গালিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। তারা কমান্ডারকে পিআইজে-এর কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে বর্ণনা করে তারা বলেছে, গালি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক রকেট হামলার জন্য দায়ী ছিলেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।