আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা শহরের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার সময় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সতর্কবার্তার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে গেছে। গাড়িতে করে গাজা শহরের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার সময় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।
হামাস কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তাঁরা সবাই ইসরায়েলের হামলার ভয়ে উত্তর গাজা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় পালাচ্ছিলেন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি ইসরায়েল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ইয়াদ আল-বুজম গণমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, প্রায় ১৫০ জন বেসামরিক লোক আল-জেতাউন আশেপাশের সালাহ আলদিন স্ট্রিটের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িবহরটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
আল-বুজম বলছিলেন, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় খোঁজার জন্য ইসরায়েলি আল্টিমেটামের পরও এখনও পুরো উপত্যকায় বোমা হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
স্থল হামলা শুরুর আগেই গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক মানুষদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। গতকাল সকালে দেওয়া বিবৃতিতে ২৪ ঘণ্টায় সময়ও বেঁধে দিয়েছিল তারা।
বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘উল্লেখযোগ্য’ অভিযান চালাবে। পরের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে তারা।
তবে উত্তর গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে ইসরাইলের নির্দেশের বিরোধিতা করেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলেছে, ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ছাড়া এত মানুষের স্থানান্তর সম্ভব নয়। এই নির্দেশনা প্রত্যাহারে ইসরাইল সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত বেড়েই চলেছে। গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে এক হাজার ৯০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আহত সাড়ে সাত হাজারের বেশি। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুই হাজার ৮০০ জনেরও বেশি।