Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গয়েশ্বর চন্দ্রকে সাপের মতো পেটানো হয়েছে : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সাপের মতো পেটানো হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তিনি বলেন, গয়েশ্বরকে যেভাবে পেটানো হয়েছে, সেইভাবে সাপকেও পেটানো হয় না।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

হামলায় গুরুতর আহত করার পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়ন করার পর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া এবং আমানউল্লাহ আমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফল পাঠানোর ঘটনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার ভীতু হয়ে গেছে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খানের আমলেও এমন দৃশ্য দেখিনি। গয়েশ্বর রায়, আমানউল্লাহ আমান দুজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, সিনিয়র সিটিজেন। তাদের সঙ্গে নাটক করা হলো। এটা কোনো মানুষ করতে পারে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে এই জনসমাবেশ যতলোক রয়েছে সবাইকে জেলখানা পাঠালেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ হবে না। আওয়ামী লীগের গদি একদিন ভেঙে যাবে। জেলখানায় বিএনপির নেতাদের খুব কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।

জনগণ শপথ নিয়েছে, এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে যাবে না বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, গ্রেফতার করছেন করেন, আমরা ভয় পাই না, বিএনপি কাপুরুষের দল নয়। আজ নেতাকর্মীরা বাজার করতে গেলে গ্রেফতার করা হচ্ছে, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোনো অত্যাচারী শাসক টিকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না।

এ বিএনপি নেতা বলেন, আজ জেলখানায় নেতাকর্মীরা অসুস্থ। আরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের কোথায় রাখবেন? যতই অত্যাচার করেন না কেন, আন্দোলন চলবে। জনগণ শপথ নিয়েছে, এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে যাবে না।

জেলখানায় থাকা নেতাকর্মীদের প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা ভেতর থেকে এসেছেন তারা বলেছেন আমাদের মজনু, কালু, মুন্নাকে রুমের বাইরে বের হতে দেয় না। তারা সবাই ডায়বেটিকসের রোগী। তারা হাঁটতে পারছে না।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, নতুন করে যাদের নিচ্ছেন তাদের কোথায় রাখবেন। জেলখানায় তো জায়গা নেই। তাই যাদের ধরেছেন তাদের মুক্তি দিন। অন্যথায় ৯০’র আন্দোলনের মতো জেল ভেঙ্গে তাদের আনা হবে।

আব্বাস বলেন, গত ১৫ বছর অনেক আন্দোলন করেছি। অনেক রক্ত ঝরেছে। আমরা গণমানুষের দাবিতে আন্দোলন করছি। ২৮ তারিখের সমাবেশ দেখে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বলিনি ঢাকা অবরোধ করবো, বলেছি প্রবেশমুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করবো। কিন্তু সরকার কী করলো! পেটুয়া পুলিশ বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের দ্বারা নারকীয় হামলা করা হলো।

মির্জা আব্বাস বলেন, নতুন যাদের জেলখানায় নিচ্ছেন তাদের কোথায় রাখবেন? জেলখানায় তো জায়গা নাই! বরং আপনারা এখন ভালোয় ভালোয় জেল ভাঙার আগে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করতে হবে। যতই গ্রেপ্তার করুন, আমরা আন্দোলনের লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাব।

মির্জা আব্বাস বলেন, আন্দোলন করতে গেলে রাস্তা থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা রাস্তায় হাঁটতে পারবে না, কথাবার্তা বলতে পারবে না, আমরা কি বাংলাদেশের রাস্তা কারো কাছে ইজারা দিয়েছি নাকি? আপনারা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছেন, অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন। তারপরও কোনো ধরনের সমাবেশ বা আন্দোলন বন্ধ হবে না। এই জনগণ আওয়ামী লীগের পতন ছাড়া অন্য কিছু কামনা করে না।

আওয়ামী লীগের পতন করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে মির্জা আব্বস বলেন, যুগে যুগে যত স্বৈরাচার ছিল তারা কিন্তু কেউ টিকে থাকতে পারে নাই। ইনশাল্লাহ এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

গয়েশ্বর চন্দ্রকে সাপের মতো পেটানো হয়েছে : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সাপের মতো পেটানো হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তিনি বলেন, গয়েশ্বরকে যেভাবে পেটানো হয়েছে, সেইভাবে সাপকেও পেটানো হয় না।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

হামলায় গুরুতর আহত করার পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়ন করার পর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া এবং আমানউল্লাহ আমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফল পাঠানোর ঘটনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার ভীতু হয়ে গেছে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খানের আমলেও এমন দৃশ্য দেখিনি। গয়েশ্বর রায়, আমানউল্লাহ আমান দুজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, সিনিয়র সিটিজেন। তাদের সঙ্গে নাটক করা হলো। এটা কোনো মানুষ করতে পারে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে এই জনসমাবেশ যতলোক রয়েছে সবাইকে জেলখানা পাঠালেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ হবে না। আওয়ামী লীগের গদি একদিন ভেঙে যাবে। জেলখানায় বিএনপির নেতাদের খুব কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।

জনগণ শপথ নিয়েছে, এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে যাবে না বলে মন্তব্য কওে তিনি বলেন, গ্রেফতার করছেন করেন, আমরা ভয় পাই না, বিএনপি কাপুরুষের দল নয়। আজ নেতাকর্মীরা বাজার করতে গেলে গ্রেফতার করা হচ্ছে, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোনো অত্যাচারী শাসক টিকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না।

এ বিএনপি নেতা বলেন, আজ জেলখানায় নেতাকর্মীরা অসুস্থ। আরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের কোথায় রাখবেন? যতই অত্যাচার করেন না কেন, আন্দোলন চলবে। জনগণ শপথ নিয়েছে, এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে যাবে না।

জেলখানায় থাকা নেতাকর্মীদের প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা ভেতর থেকে এসেছেন তারা বলেছেন আমাদের মজনু, কালু, মুন্নাকে রুমের বাইরে বের হতে দেয় না। তারা সবাই ডায়বেটিকসের রোগী। তারা হাঁটতে পারছে না।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, নতুন করে যাদের নিচ্ছেন তাদের কোথায় রাখবেন। জেলখানায় তো জায়গা নেই। তাই যাদের ধরেছেন তাদের মুক্তি দিন। অন্যথায় ৯০’র আন্দোলনের মতো জেল ভেঙ্গে তাদের আনা হবে।

আব্বাস বলেন, গত ১৫ বছর অনেক আন্দোলন করেছি। অনেক রক্ত ঝরেছে। আমরা গণমানুষের দাবিতে আন্দোলন করছি। ২৮ তারিখের সমাবেশ দেখে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বলিনি ঢাকা অবরোধ করবো, বলেছি প্রবেশমুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করবো। কিন্তু সরকার কী করলো! পেটুয়া পুলিশ বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের দ্বারা নারকীয় হামলা করা হলো।

মির্জা আব্বাস বলেন, নতুন যাদের জেলখানায় নিচ্ছেন তাদের কোথায় রাখবেন? জেলখানায় তো জায়গা নাই! বরং আপনারা এখন ভালোয় ভালোয় জেল ভাঙার আগে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করতে হবে। যতই গ্রেপ্তার করুন, আমরা আন্দোলনের লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাব।

মির্জা আব্বাস বলেন, আন্দোলন করতে গেলে রাস্তা থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা রাস্তায় হাঁটতে পারবে না, কথাবার্তা বলতে পারবে না, আমরা কি বাংলাদেশের রাস্তা কারো কাছে ইজারা দিয়েছি নাকি? আপনারা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছেন, অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন। তারপরও কোনো ধরনের সমাবেশ বা আন্দোলন বন্ধ হবে না। এই জনগণ আওয়ামী লীগের পতন ছাড়া অন্য কিছু কামনা করে না।

আওয়ামী লীগের পতন করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে মির্জা আব্বস বলেন, যুগে যুগে যত স্বৈরাচার ছিল তারা কিন্তু কেউ টিকে থাকতে পারে নাই। ইনশাল্লাহ এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।