Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই : আমির খসরু

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তাদের (রাজনীতিবিদ) আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাতে হবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিজয় র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐক্যমতে আমরা আমাদের ৩১ দফা সংস্কার পরিপূর্ণভাবে করবো। এখন কি সংস্কার হবে, না হবে আমরা সেখানে সহযোগিতা করতে রাজি আছি। বিগত দিনে রাজনীতিবিদরা যেহেতু সফল হয়নি, তার জন্য রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। প্রধান এবং প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। এই চট্টগ্রাম থেকে, চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে এবং এ অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয়, এই বাকশালের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলকে মুখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের লক্ষ মানুষের ওপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে আবারো মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে সংস্কারের কথা বলছে, প্রথম সংস্কার করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম সংস্কারটা হলো, একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটি ছিল, প্রথম সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কার সংস্কার যারা বলে তারা এগুলো বুঝে নাই, চিন্তা করে নাই। দ্বিতীয় সংস্কার হলো সরকার চালিত অর্থনীতি। যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালরা লুটপাট করে দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃতীয় সংস্কার করেছিলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির মাধ্যমে।

‘সেই মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে সমস্ত বাংলাদেশি অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সমান অধিকার পেয়েছিল। এজন্য শ্রমিক, কিশোর, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সকলে মিলে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছিল সেদিন। সেই সংস্কারের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আজকের যে গার্মেন্টস শিল্প অর্থনীতিতে প্রথম অবদান রাখছে- সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রথম শক্তি। বিদেশে মানুষ পাঠিয়ে যে রেমিটেন্স আজ বাংলাদেশে আসছে, দেশের মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করছে, সেটার অবদান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের’ যোগ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বৈরাচারের পতনের পরে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্ত সংস্কারের মাধ্যমে আজ যে অর্থনীতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির আহবায়ক। এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পদ্মা সেতুতে বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই : আমির খসরু

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তাদের (রাজনীতিবিদ) আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাতে হবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিজয় র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐক্যমতে আমরা আমাদের ৩১ দফা সংস্কার পরিপূর্ণভাবে করবো। এখন কি সংস্কার হবে, না হবে আমরা সেখানে সহযোগিতা করতে রাজি আছি। বিগত দিনে রাজনীতিবিদরা যেহেতু সফল হয়নি, তার জন্য রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। প্রধান এবং প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। এই চট্টগ্রাম থেকে, চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে এবং এ অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয়, এই বাকশালের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলকে মুখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের লক্ষ মানুষের ওপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে আবারো মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে সংস্কারের কথা বলছে, প্রথম সংস্কার করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম সংস্কারটা হলো, একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটি ছিল, প্রথম সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কার সংস্কার যারা বলে তারা এগুলো বুঝে নাই, চিন্তা করে নাই। দ্বিতীয় সংস্কার হলো সরকার চালিত অর্থনীতি। যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালরা লুটপাট করে দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃতীয় সংস্কার করেছিলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির মাধ্যমে।

‘সেই মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে সমস্ত বাংলাদেশি অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সমান অধিকার পেয়েছিল। এজন্য শ্রমিক, কিশোর, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সকলে মিলে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছিল সেদিন। সেই সংস্কারের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আজকের যে গার্মেন্টস শিল্প অর্থনীতিতে প্রথম অবদান রাখছে- সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রথম শক্তি। বিদেশে মানুষ পাঠিয়ে যে রেমিটেন্স আজ বাংলাদেশে আসছে, দেশের মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করছে, সেটার অবদান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের’ যোগ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বৈরাচারের পতনের পরে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্ত সংস্কারের মাধ্যমে আজ যে অর্থনীতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির আহবায়ক। এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।