মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গুয়াগাছিয়ায় ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন তিনজন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসিম ব্যাপারীর ছেলে রাসেল (২৫) এবং গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর ব্যাপারীর ছেলে লোকমান (৩০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল রাত ১২টায় পাহারা শুরু করার পর রাত ২টা ৩০ মিনিটে গ্রামে ১০-১২ জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাঁদের ধাওয়া দেওয়া হলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন তিনজন। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনি দিয়ে তাঁদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূরে আলম জিকু বলেন, ‘আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে লোকমান ও আবু হানিফের অবস্থা ভালো নয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পা ভেঙে গেছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এক্স-রে করতে দেওয়া হয়েছে। এক্স-রে রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলতে পারব।’
আটককৃত লোকমান নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমরা ডাকাত নই। আমাদের প্রতিপক্ষ নয়ন-পিয়াস গ্রুপের লোকজন গতকাল রাতে আমাদের মারধর করে জনতার হাতে তুলে দিয়েছে। এই ভোঁতা অস্ত্র, পেট্রলবোমা নিয়ে কেউ ডাকাতি করতে আসে? এসব অস্ত্রও তাদের দেওয়া।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। জনতার হাতে আটক তিনজনকে আমরা থানায় নিয়ে আসি। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 
























