Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লক্ষ্যটা একেবারে হাতের নাগালের না হলেও অসম্ভব কিছু ছিল না। ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই যেন পথহারা পথিক খুলনা টাইগার্স। টানা দুই জয়ের পর প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল মেহেদী হাসান মিরাজরা। অন্যদিকে, খুলনাকে হারিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল দুর্বার রাজশাহী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলি রাব্বি আর রায়ান বার্লের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছিল রাজশাহী। জবাবে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৫০ রান তুলেছে খুলনা। ২৮ রানের জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়রা।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়াম বোসিসটো (৬)। এদিন ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি মিরাজও। ৭ বলে ১ রান করেন তিনি। তবে অপর প্রান্ত থেকে রান তোলোর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার নাঈম। তবে ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর খুলনা শিবিরের হাল ধরার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৩০ বলে ৩৩ রান করে আফিফ এবং ১১ বলে ১৮ রান করে আউট হন অঙ্কন।

পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আবু হায়দার। এতে দলীয় ১১২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা।

শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ (৯), নাসুম আহমেদ (১৮) ও সালমান এরশাদ ৫ রানে আউট হলে ৩ বল হাতে থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা। এতে ২৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী।

দুর্বার রাজশাহীর হয়ে তাসিকন আহমেদ, সোহাগ গাজী ও রায়ার্ন বার্ল দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও জিসান আলম, এসএম মেহরাব, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না রাজশাহীর। গতিশীল ইনিংস না হলেও রানের একটি ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম। ২০ বলে ২৭ রান করে ফেরেন হারিস। ২২ বলে ২৩ রান করেন জিশান।

ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (৮ বলে ৭)। নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। এসএম মেহেরব ৭ বলে ৫ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন।

পঞ্চম উইকেটে ৮৮ রানের জুটি করেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও রায়ান বার্ল। এতেই লড়াকু সংগ্রহের দিকে যায় রাজশাহী। ফিফটি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় ইয়াসির আলীকে। আবু হায়দার রনির করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৪১ রান করে বোল্ড হন তিনি।

এরপর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন আকবর আলী। ৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও উপহার দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। রায়ান বার্লের ২৯ বলের অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে ১৭৮ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী।

নাসুম আহমেদ ২০ রানে ২টি আর মোহাম্মদ নওয়াজ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি নেন একটি করে উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী

প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লক্ষ্যটা একেবারে হাতের নাগালের না হলেও অসম্ভব কিছু ছিল না। ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই যেন পথহারা পথিক খুলনা টাইগার্স। টানা দুই জয়ের পর প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল মেহেদী হাসান মিরাজরা। অন্যদিকে, খুলনাকে হারিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল দুর্বার রাজশাহী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলি রাব্বি আর রায়ান বার্লের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছিল রাজশাহী। জবাবে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৫০ রান তুলেছে খুলনা। ২৮ রানের জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়রা।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়াম বোসিসটো (৬)। এদিন ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি মিরাজও। ৭ বলে ১ রান করেন তিনি। তবে অপর প্রান্ত থেকে রান তোলোর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার নাঈম। তবে ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর খুলনা শিবিরের হাল ধরার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৩০ বলে ৩৩ রান করে আফিফ এবং ১১ বলে ১৮ রান করে আউট হন অঙ্কন।

পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আবু হায়দার। এতে দলীয় ১১২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা।

শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ (৯), নাসুম আহমেদ (১৮) ও সালমান এরশাদ ৫ রানে আউট হলে ৩ বল হাতে থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা। এতে ২৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী।

দুর্বার রাজশাহীর হয়ে তাসিকন আহমেদ, সোহাগ গাজী ও রায়ার্ন বার্ল দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও জিসান আলম, এসএম মেহরাব, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না রাজশাহীর। গতিশীল ইনিংস না হলেও রানের একটি ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম। ২০ বলে ২৭ রান করে ফেরেন হারিস। ২২ বলে ২৩ রান করেন জিশান।

ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (৮ বলে ৭)। নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। এসএম মেহেরব ৭ বলে ৫ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন।

পঞ্চম উইকেটে ৮৮ রানের জুটি করেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও রায়ান বার্ল। এতেই লড়াকু সংগ্রহের দিকে যায় রাজশাহী। ফিফটি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় ইয়াসির আলীকে। আবু হায়দার রনির করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৪১ রান করে বোল্ড হন তিনি।

এরপর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন আকবর আলী। ৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও উপহার দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। রায়ান বার্লের ২৯ বলের অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে ১৭৮ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী।

নাসুম আহমেদ ২০ রানে ২টি আর মোহাম্মদ নওয়াজ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি নেন একটি করে উইকেট।