Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা-বরিশাল মহাসড়কজুড়ে বেহাল দশা, ভোগান্তিতে চলাচলকারীরা

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর অংশে খানাখন্দে ভরে বেহাল দশা। টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ গর্ত ও খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। সড়কের এ অংশটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বাগড়ি বাজার এলাকার পুরো সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও জমে আছে বৃষ্টির পানি। এতে প্রতিনিয়তই যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

বিশেষ করে বাগড়ি বাজার এলাকার নতুন পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু হয়ে বাগড়ি ব্র্যাক অফিস, ৭৪ নং দক্ষিণ বাগড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক, বাগড়ি ভূমি অফিস, মেডিকেল মোড়, বলাইবাড়ি ও পিংড়িসহ উপজেলার অন্তত ১৫ কিলোমিটার সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সবধরনের যানবাহনের চালকরা পড়েছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এই করুণ অবস্থা। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। অথচ বছরের পর বছর ধরে সংস্কার করা হয় না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়, দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

মোটরসাইকেল চালক মাহিম ও হিমেল জানান, ভাঙা সড়কে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়ির সামনের চাকার সিল কেটে গেছে কয়েকবার। এছাড়া গাড়ির নানা রকম ত্রুটি দেখা দেয়। যা কদিন পর পর মোরামত করতে হয়। ভাঙা সড়কটি সংষ্কারে সংশ্লিষ্ট কারোরই নজর নেই।

ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মিজু বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গর্তে পড়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক দিন পরপর নামমাত্র পিচ, পাথর ও বালু দিয়ে ঢেকে দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই তা উঠে যায়। সঠিক নিয়মে ঢালাই দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ ও দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তারা।

সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে গেছে। আবার কোথাও উঁচু হয়ে ফেটে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে পাথর ও খাদ্যপণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচল করে প্রতিনিয়ত। এতে গাড়িগুলো ঠিকমতো ব্রেক করতে পারে না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও খুলনা বিভাগের বহু জেলার মানুষের যাতায়াত। এছাড়া রাজধানী ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের সংযোগ রক্ষা করে সড়কটি। এর বেহাল অবস্থার কারণে সার্বিক যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটছে। জনগণের ভোগান্তি কমাতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান বলেন, মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় নিয়মিত সংষ্কার করা হয়। বৃষ্টির কারণে বেশকিছু জায়গায় সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি জমেছে। এসব কারণে সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুতই মেরামত করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

খুলনা-বরিশাল মহাসড়কজুড়ে বেহাল দশা, ভোগান্তিতে চলাচলকারীরা

প্রকাশের সময় : ১২:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর অংশে খানাখন্দে ভরে বেহাল দশা। টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ গর্ত ও খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। সড়কের এ অংশটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বাগড়ি বাজার এলাকার পুরো সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও জমে আছে বৃষ্টির পানি। এতে প্রতিনিয়তই যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

বিশেষ করে বাগড়ি বাজার এলাকার নতুন পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু হয়ে বাগড়ি ব্র্যাক অফিস, ৭৪ নং দক্ষিণ বাগড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক, বাগড়ি ভূমি অফিস, মেডিকেল মোড়, বলাইবাড়ি ও পিংড়িসহ উপজেলার অন্তত ১৫ কিলোমিটার সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সবধরনের যানবাহনের চালকরা পড়েছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এই করুণ অবস্থা। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। অথচ বছরের পর বছর ধরে সংস্কার করা হয় না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়, দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

মোটরসাইকেল চালক মাহিম ও হিমেল জানান, ভাঙা সড়কে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়ির সামনের চাকার সিল কেটে গেছে কয়েকবার। এছাড়া গাড়ির নানা রকম ত্রুটি দেখা দেয়। যা কদিন পর পর মোরামত করতে হয়। ভাঙা সড়কটি সংষ্কারে সংশ্লিষ্ট কারোরই নজর নেই।

ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মিজু বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গর্তে পড়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক দিন পরপর নামমাত্র পিচ, পাথর ও বালু দিয়ে ঢেকে দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই তা উঠে যায়। সঠিক নিয়মে ঢালাই দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ ও দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তারা।

সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে গেছে। আবার কোথাও উঁচু হয়ে ফেটে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে পাথর ও খাদ্যপণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচল করে প্রতিনিয়ত। এতে গাড়িগুলো ঠিকমতো ব্রেক করতে পারে না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও খুলনা বিভাগের বহু জেলার মানুষের যাতায়াত। এছাড়া রাজধানী ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের সংযোগ রক্ষা করে সড়কটি। এর বেহাল অবস্থার কারণে সার্বিক যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটছে। জনগণের ভোগান্তি কমাতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান বলেন, মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় নিয়মিত সংষ্কার করা হয়। বৃষ্টির কারণে বেশকিছু জায়গায় সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি জমেছে। এসব কারণে সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুতই মেরামত করা হবে।