নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। বিদেশ নেয়ার বিষয়টি শারীরিক অবস্থার জন্য বিলম্ব হচ্ছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এয়ার অ্যাম্বুলোন্স প্রস্তুত থাকলেও শারীরিক অবস্থা প্রাধান্য পাচ্ছে। তার স্বাস্থ্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তারেক রহমান চিকিৎসকদের পরামর্শকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসায় কোনো কমতি রাখা হবে না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ডা. জাহিদ বলেন, গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হলেও কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে।
বিলম্বের মূল কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কাতারের আমিরের উদ্যোগে পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কারিগরি ত্রুটি, যা সময়মতো আসেনি। এ ছাড়া মেডিকেল বোর্ড জরুরি সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে উনাকে ফ্লাই করানো ওই মুহূর্তে নিরাপদ নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিদেশে নেওয়ার সময় নির্ধারণ ভবিষ্যতে তার শারীরিক অবস্থাই জানাবে। চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রাধান্য ও সমন্বয় নিশ্চিত করতে দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে বহু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত রয়েছেন লন্ডনের জন পেট্রিক কেনেডি, জেনিফার ক্রস, প্রফেসর গোলস্টন, প্রফেসর ডক্টর রিচার্ড, শাকিল ফরিদ ও প্রফেসর গার্বি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রফেসর হাবিবুর রহমান লুলু, প্রফেসর ডক্টর জন হ্যাবিল্টন, প্রফেসর ডক্টর হামিদরাও, প্রফেসর ডক্টর রফিকউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডক্টর জর্জিস।
ডা. জাহিদ অনুরোধ করেন, ‘দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। শুধু সঠিক তথ্যই প্রচার করা উচিত।’
তিনি বলেন, কাতার সরকার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। তবে দেশের বাইরে নেওয়ার আগে চিকিৎসকরা শারীরিকভাবে নিরাপদ স্থানান্তর নিশ্চিত করবে, কারণ ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন যে অতি উচ্চতায় মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, সেটির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। এ জিনিসটি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাতার সরকার এবং আমাদের যে অন্তর্বর্তী সরকার, সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে।উনার শারীরিক সুস্থতা এবং চিকিৎসা মেডিকেল বোর্ডের যখন পরামর্শ মিলবে, তখনই ইনশাআল্লাহ উনাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, উনার চিকিৎসার ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুজব শোনা যায়। আমি সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, দয়া করে দেশনেত্রীর প্রতি আপনাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ, দয়া করে কেউ গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
জাহিদ বলেন. শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করেন। এর চেয়ে প্রতিকূল অবস্থা থেকেও আল্লাহ উনাকে সুস্থ করেছেন আপনাদের সবার দোয়ায়। আমরাও মেডিকেল বোর্ড অত্যন্ত আশাবাদী যে, এবারও উনার যে শারীরিক জটিলতা, এটা থেকে আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ইনশাআল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালের সব কর্মী সহযোগিতা করছেন।হাসপাতালে ভর্তি থাকা অনেক রোগী এবং তাদের আত্মীয়স্বজন আমাদের কারণে হয়তো নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, সেজন্য আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের সহযোগিতা চাই এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া উনার চিকিৎসা কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখা কষ্ট হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। এবং তিনি চিকিৎসকের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















