নিজস্ব প্রতিবেদক :
চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ৫ নেতা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে দলটির কয়েকজন নেতা হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। পরে বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির আব্দুর রহমান মুসা, সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আলী আশরাফ ইমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া শেষে তারা দুপুর পৌনে ১টায় হাসপাতাল থেকে বের হন।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে তাহের সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে আসছিলাম। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আমরা তার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দাবি জানাই। তার কিছু হয়ে গেলে দেশবাসীর মধ্যে রিঅ্যাকশন হবে।
খালেদা জিয়া বর্তমানে লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। এছাড়াও তিনি কিডনি, ফুসফুসসহ হৃদরোগ ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালেই আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।