অর্থ ব্যয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দেশের মহাহিসাব নিরীক্ষকের কাছে জবাবদিহি করতে চায় না। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা দিয়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে চায় রেলওয়ে। সংশোধিত জনবল কাঠামোয় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কোনো সরকারি দপ্তরে এমন নজির এটাই প্রথম। এই উদ্যোগ কার্যকর হলে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি দুই’ই বাড়বে বলে মনে করে টিআইবি।
সরকারের সকল দপ্তরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষণ করার সর্বোচ্চ ও স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল বা মহা-হিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে এই বিধান না মেনে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা দিয়ে তাদের খরচের হিসাব রাখতে চায়। রেলওয়ের নতুন জনবল কাঠামো অনুযায়ী অডিট এন্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারের পরিবর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে এই পদে নিয়োগের জন্য চিঠি দিয়েছে রেলের মহাপরিচালক।
রেলের এই উদ্যোগকে আর্থিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী আখ্যা দিয়েছে কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল- সিএজির কার্যালয়। গত ২৪শে জুলাই ডেপুটি সিএজি মাহবুবুল হক এ নিয়ে রেল সচিবকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, রেলওয়ে মহাপরিচালকের এমন উদ্যোগ অনাকাক্সিক্ষত, অপ্রত্যাশিত, আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও রেলওয়ের মহপরিচালকের দপ্তর যে অনুরোধ করেছে, তাকে শিষ্টাচারবহির্ভূত বলেন সিএজি অফিস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনও রেলের ডিজির উদ্যোগকে সমর্থন জানান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেছেন, রেলের উদ্যোগ সংবিধান ও রাষ্ট্রের রুলস অব বিজনেসের সাথে সাংঘর্ষিক।
এটা নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে উল্লেখ করে সংশোধিত জনবল কাঠামো প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ তার।
সংশোধিত জনবল কাঠামোতে রেল ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও হিসাব বিভাগে বদলির সুযোগ রাখা হয়েছে।
প্রতিনিধির নাম 
























