Dhaka সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতায় এলে এনইআইআর নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সারিনায় সেন্টার ফর টেকনোলোজি জার্নালিজম (সিটিজে) আয়োজিত ‘এনইআইআর: বাস্তবায়ন কাঠামো, জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক উদ্বেগ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এনইআইআর নীতিমালা অবশ্যই রিভিউ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী ও বর্তমান সরকারের অনেক নীতিমালাই মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিপন্থী, সেগুলোও পর্যালোচনা করা হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে ৬৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন অ্যাসেম্বেলিংয়ের নামে যারা সুবিধা নিচ্ছে, তারা আসলে কতটুকু ভ্যালু অ্যাড করছে?” তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষের কর কাঠামোতে বৈষম্য আছে কিনা তা দেখতে হবে এবং কোনো নীতিমালা যদি বিশেষ কোনো সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে তৈরি হয়, তবে সেই ব্যবসা টেকসইভাবে দাঁড়াতে পারে না।

আমীর খসরুর মন্তব্য, “মনোপলি ব্যবসা তৈরি হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কিছু সংখ্যক উদ্যোক্তার হাতে চলে যাবে। তারা অ্যাসেম্বলিংয়ের নামে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছে; অন্যদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।”

তিনি বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে তবে ‘ডেফিনিটলি’ এনইআইআর নীতিমালাসহ যেসব নীতিমালা মুক্তবাজারের সঙ্গে সংঘর্ষিক সেগুলো ‘রিভিউ’ করা হবে। আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলব। তারপর সেই অনুযায়ী সেগুলো ‘রিভিউ’ করা হবে। সাবেক আওয়ামী লীগ বা বর্তমান সরকারের যেসব নীতিমালা মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিপন্থি, সেগুলো আমরা অবশ্যই ‘রিভিউ’ করবো। আপনি একদিকে মুক্তবাজারের কথা বলবেন আরেক দিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজার তৈরি করবেন সেটা হবে না।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে পণ্য সবার দরকার সেটার দাম বেশি হতে হবে কেন? ৬৭ হাজার কোটি টাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ করেছে তার ফল কী?

কর কমালে সরকার বেশি টাকা পায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি ট্যাক্স কমিয়ে দিলে সরকারের খাতে বেশি টাকা আসে। কারণ তখন এর পরিধি বেড়ে যায়।”

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকল ধরনের রপ্তানিকারকদের ‘বন্ডেড ওয়ারহাউজের’ সুবিধা দেওয়া হবে তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, “জিয়াউর রহমান তার সময়ে গার্মেন্টস কে যে সুবিধা দিয়েছিল, তার সুফল এখন বাংলাদেশ ভোগ করছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে যারা রপ্তানি করবেন, তাদের সকলকে ‘বন্ডেড ওয়্যারহাউজ’ সুবিধা ও ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির সুবিধা দেওয়া হবে।”

গোলটেবিলে কী-নোট উপস্থাপন করেন সিটিজের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের সহকারী সম্পাদক হাসান জাকির। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার (বাক্কো)-এর সেক্রেটারি ফয়সল আলিম, আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, বেসিসের সহায়ক কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান রাফায়েল কবীর, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সায়েম ফারুকী, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রবাসীদের মোবাইল আনা নিয়ে গুজবের উত্তর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের

ক্ষমতায় এলে এনইআইআর নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সারিনায় সেন্টার ফর টেকনোলোজি জার্নালিজম (সিটিজে) আয়োজিত ‘এনইআইআর: বাস্তবায়ন কাঠামো, জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক উদ্বেগ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এনইআইআর নীতিমালা অবশ্যই রিভিউ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী ও বর্তমান সরকারের অনেক নীতিমালাই মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিপন্থী, সেগুলোও পর্যালোচনা করা হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে ৬৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন অ্যাসেম্বেলিংয়ের নামে যারা সুবিধা নিচ্ছে, তারা আসলে কতটুকু ভ্যালু অ্যাড করছে?” তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষের কর কাঠামোতে বৈষম্য আছে কিনা তা দেখতে হবে এবং কোনো নীতিমালা যদি বিশেষ কোনো সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে তৈরি হয়, তবে সেই ব্যবসা টেকসইভাবে দাঁড়াতে পারে না।

আমীর খসরুর মন্তব্য, “মনোপলি ব্যবসা তৈরি হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কিছু সংখ্যক উদ্যোক্তার হাতে চলে যাবে। তারা অ্যাসেম্বলিংয়ের নামে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছে; অন্যদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।”

তিনি বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে তবে ‘ডেফিনিটলি’ এনইআইআর নীতিমালাসহ যেসব নীতিমালা মুক্তবাজারের সঙ্গে সংঘর্ষিক সেগুলো ‘রিভিউ’ করা হবে। আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলব। তারপর সেই অনুযায়ী সেগুলো ‘রিভিউ’ করা হবে। সাবেক আওয়ামী লীগ বা বর্তমান সরকারের যেসব নীতিমালা মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিপন্থি, সেগুলো আমরা অবশ্যই ‘রিভিউ’ করবো। আপনি একদিকে মুক্তবাজারের কথা বলবেন আরেক দিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজার তৈরি করবেন সেটা হবে না।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে পণ্য সবার দরকার সেটার দাম বেশি হতে হবে কেন? ৬৭ হাজার কোটি টাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ করেছে তার ফল কী?

কর কমালে সরকার বেশি টাকা পায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি ট্যাক্স কমিয়ে দিলে সরকারের খাতে বেশি টাকা আসে। কারণ তখন এর পরিধি বেড়ে যায়।”

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকল ধরনের রপ্তানিকারকদের ‘বন্ডেড ওয়ারহাউজের’ সুবিধা দেওয়া হবে তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, “জিয়াউর রহমান তার সময়ে গার্মেন্টস কে যে সুবিধা দিয়েছিল, তার সুফল এখন বাংলাদেশ ভোগ করছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে যারা রপ্তানি করবেন, তাদের সকলকে ‘বন্ডেড ওয়্যারহাউজ’ সুবিধা ও ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির সুবিধা দেওয়া হবে।”

গোলটেবিলে কী-নোট উপস্থাপন করেন সিটিজের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের সহকারী সম্পাদক হাসান জাকির। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার (বাক্কো)-এর সেক্রেটারি ফয়সল আলিম, আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, বেসিসের সহায়ক কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান রাফায়েল কবীর, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সায়েম ফারুকী, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।