কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে হামলার সময় আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এক সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরসার ছোড়া গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৬ মে) গভীর রাতে উখিয়ার বালুখালী-১৩ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের জি-১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরসা সদস্যের নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন উখিয়া বালুখালী-১৩ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে জি-১ ব্লকের মাঝি হোসাইন আহমদের মা রমিদা খাতুন, দুই ছেলে মো. রফিক (২৫) ও মো. জুবায়ের (১৮)।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বালুখালী-১৩ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের জি-১ ব্লকে আরসা কমান্ডার হাফেজ জোবায়ের ও নুরুল হকের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন আরসা সদস্য অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা ১০ থেকে ১৫টি গুলি ছোড়েন। এ সময় আশ্রয়শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গারা আরসা সদস্যদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ রোহিঙ্গারা অজ্ঞাতনামা এক আরসা সদস্যকে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় আরসা সদস্যদের ছোড়া গুলিতে জি-১ ব্লকের রোহিঙ্গা মাঝি হোসাইন আহমদের মা ও দুই ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের আশ্রয়শিবিরের ব্র্যাক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আরসার সদস্যের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে আরসার অজ্ঞাতনামা এক সদস্যের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর হামলার সময় গুলিবিদ্ধ তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে পাঁচ মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১১ জন আরসা সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।